এই মুহূর্তে




মধ্যমগ্রাম ট্রলি কাণ্ডে মা ও মেয়ের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিনিধি বারাসত: মধ্যমগ্রামে ট্রলি ব্যাগে করে খুনের পর মৃতদেহ পাচারের ঘটনায় মা ও মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডর সাজা শোনাল বারাসত আদালত(Barasat Court)।উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যমগ্রামের খুনের ঘটনায় আরতী ঘোষ(Arati Ghosh) ও তার মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষকে(Falguni Ghosh) নিয়ে আসা হয় সোমবার বারাসাত আদালতে। মধ্যমগ্রামে ট্রলি ব্যাগে করে খুনের পর মৃতদেহ পাচারের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডর সাজা শোনাল বারাসাত আদালত।খুনের মামলায় যাবজ্জীবন জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস আরো অতিরিক্ত কারাবাস। এছাড়াও ২৩৮/৩ বিএনএস তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য সাত বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল প্রথম সাত বছর অর্থাৎ তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য যে সাত বছরের জেল দেওয়া হয়েছে সেটা থাকতেই হবে ।তারপর যাবজ্জীবনের শাস্তি শুরু হবে। ডিফেন্স আইনজীবী তারক চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, এই বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আবেদন জানাবেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, ওই খুনের ঘটনার পর মা ও মেয়েকে ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়। সেখানে আরতী ঘোষ নিজেই হাত দিয়ে দেখিয়ে দেন খুনের পর সে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র জলে ফেলেছিল। যে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয় সেই মহিলার পোশাক কোথায় ফেলেছিল তাও দেখিয়ে দেন ফাল্গুনী।আনা হয় ডুবুরি ।উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত বঁটি। তবে ডুবুরির কাছে স্থানীয় এক বাসিন্দা শিলা বসু আবদার করেন আমার সোনার এবং রুপোর দুটি আংটি এই পুকুরের জলে হারিয়ে গিয়েছিল। একটু খুঁজে দেবেন প্লিজ। কিছুটা অবাক হয়ে যায়, ফাল্গুনীর সঙ্গে থাকা পুলিশ অফিসার ও ডুবুরি। পরে যদিও বিনা বাক্য ব্যয় সকলে ঘটনাস্থল ছাড়েন। এদিকে ডুবুরি শীলাদেবীর আংটি খুঁজে না দাওয়ায় আশাহত হয়ে বাড়ি ফেরার সময় তিনি বলেন, কালী পুজার সময় তিনি ওই আংটি পুরোহিতকে দিয়েছিলেন।পুরোহিত ভুল করে পুজোয় ব্যবহৃত ঘটে রেখে দিয়েছিল। পরবর্তীতে পুজো শেষে ঘট বিসর্জন দেওয়া হয় পুকুরে।

সেই সময় ঘটের সঙ্গে রুপো এবং সোনার আংটি ও পুকুরের জলে হারিয়ে যায়। বহু খোঁজাখুঁজির পর মেলেনি সেই দামি গয়নাগুলি। ফলে ট্রলি কাণ্ডে পুকুরে ডুবুরি নামার খবর পেতেই ছুটে আসেন শীলা দেবী। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে উদ্ধার হয়ে গেলেও সেই গয়না অবশ্য উদ্ধার হয়নি। প্রিয় পুলিশকর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে গেলে আশাহত হয়ে বাড়ি ফিরে যান শিলা দেবী। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন গয়না তো আর পেলাম না দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করি গিয়ে।মঙ্গলবার পিসি শাশুড়িকে খুনে অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষের ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লির এলাকার পুকুরে নামে ডুবুরি। মা ও মেয়েকে নিয়ে আসা হয় সেখানে। এদিকে ওই পুকুরের জলে ডুবুরি নামতেই এদিক ওদিক থেকে নানা ধরনের অনুরোধ ভেসে আসতে থাকে প্রতিবেশীদের পক্ষ থেকে। কেউ বলেন ওই পুকুরের জলে তার মূল্যবান আংটি হারিয়ে গিয়েছে কেউ আবার বলেন অন্য কিছু। পুলিশ কর্মীরা ও ডুবুরি ১৫ মিনিটের মধ্যে অস্ত্র উদ্ধার করে ওই স্পট ছেড়ে চলে যায়। সমস্ত উৎকণ্ঠার যবনিকা ঘটে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

প্রকাশ্যে SIR এর ভিন্ন ছবি, গ্রামে ফিরে স্কুলপড়ুয়াদের খাওয়ালেন পরিযায়ী শ্রমিক

ফ্রিজের মধ্যে ফুলকপিকে জড়িয়ে রয়েছে সাপ, চাঞ্চল্য মালদহে

খড়িবাড়ির পর শিলিগুড়ি! জাল জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র চক্রের হদিশ, ধৃত ১

ঐতিহাসিক মুদ্রা থেকে দেশ বিদেশের ডাকটিকিট, মাইক্রোবায়োলজিস্টের সংগ্রহ দেখলে চমকে যাবেন

চেন্নাইয়ে কাজে গিয়ে মৃত্যু, পরিযায়ী শ্রমিক অসীমের দেহ ফিরল বাহারি গ্রামে, শোকের ছায়া বীরভূমে

হায় রে স্বার্থ! SIR শুরু হতেই বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বাবা মায়ের খোঁজ নেওয়ার হিড়িক সন্তানদের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ