নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলার(Bengal) বেশ কিছু জেলায় ঘুরপথে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদি সরকার। ঠিক যেভাবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের(Home Minisrty) অধীনস্থ বিএসএফ-কে সীমান্ত থেকে ১০০ কিমি ভেতর পর্যন্ত তল্লাশি ও ধরপাকড় চালানোর ক্ষমতা দিয়ে দেওয়া হয়েছে এখন সেই ভাবে বাংলার বিশেষ কিছু জেলাকে ‘জঙ্গিদের হটস্পট’ এলাকা বলে চিহ্নির করে সেই সব জেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিতে চাইছে মোদি সরকার। এমনই অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগকে ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রের একটি তালিকা চেয়ে পাঠানোর ঘটনা। সূত্রে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্যের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে বাংলার কোথায় কোথায় জঙ্গি গতিবিধি রয়েছে কিংবা অতীতে জঙ্গিরা কোন কোন এলাকায় বিশেষ ভাবে সক্রিয় ছিল তার তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারও পাল্টা জানিয়ে দিতে চলেছে যে বাংলায় জঙ্গিদের কোনও গতিবিধি নেই।
নর্থ ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে জঙ্গি দমনে একটি ‘রুট ম্যাপ’ তৈরি করতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ হিসেবে রাজ্যগুলির যে সব এলাকায় জঙ্গি গতিবিধি রয়েছে বা অতীতে ছিল এমন সব এলাকার তালিকা রাজ্যগুলির গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছ থেকে চেয়ে পাঠঞ্চছে অমিত শাহের মন্ত্রক। বাংলা সহ একাধিক রাজ্যের কাছ থেকে সেই তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তালিকা দেখে দেখে ওই সব রাজ্যের বিশেষ কিছু এলাকাকে ‘জঙ্গি হট স্পট’(Hotspot) হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বেশ কিছু রাজ্য ইতিমধ্যে তাদের তালিকা জমা দিয়েছে। তবে বাংলা থেকে ওই ধরনের জায়গার তালিকা এখনও জমা পড়েনি। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে অতীতে জঙ্গি(Terrorist) কার্যকলাপের কথা জানিয়ে একটি রিপোর্ট অবশ্যই পাঠানো হবে। তবে সেই সঙ্গে এটাও জানিয়ে দেওয়া হবে বাংলায় এখন জঙ্গিদের কার্যকলাপ বা গতিবিধি কিছু নেই। রাজ্য যে তালিকা পাঠাচ্ছে তাতে, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া, উত্তর দিনাজপুর, বর্ধমানের কিছু জায়গার নাম থাকবে। তবে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হবে বাংলায় বর্তমানে জঙ্গি গতিবিধি তেমন নেই। যে-সব জায়গায় কয়েক বছর আগেও জঙ্গি বা জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, এমন সন্দেহভাজনদের দেখা মিলত, পরপর পুলিশি অভিযান, নজরদারি ও গ্রেফতারির পরে সেই সব কার্যকলাপ বা যাতায়াত বন্ধ হয়ে গিয়েছে।