এই মুহূর্তে

বাংলায় আসছে নয়া প্রকল্প ‘আবাস প্লাস’, পাশে থাকছে কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিনিধি: আপাতদৃষ্টিতে দুই দলের লক্ষ্যই এক। ভোট বৈতরনী পার হয়ে যাওয়া। সেই সঙ্গে নিজ নিজ ক্ষমতা ধরে রাখা। সেই সঙ্গে যতটা সম্ভব বেশি দলের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়া। কিন্তু সমস্যাটা এখন ঘাসফুল অপেক্ষা গেরুয়া শিবিরে বেশি। কেননা ঘাসফুলের পরীক্ষা ২০২৬ সালে। এখনও ৪ বছর বাকি। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের পরীক্ষা ২০২৪ সালে। হাতে মাত্র ১ থেকে দেড় বছর। এর মধ্যেই পাশ মার্কস তোলার ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে। কিন্তু যদি টেনেটুনে পাশ মার্কস ওঠে তাহলে পাশে এমন একটা কাউকে চাই যার সমর্থনে স্বস্তির শ্বাস নেওয়া যাবে। সেই সূত্রেই এখন ঘাসফুলের মাথাকে কাছে টানতে চাইছেন গেরুয়া শিবিরের কর্তা। তাতে কার লাভ বেশি সেই অঙ্কের হিসাব আপাতত তোলা থাক। বরঞ্চ সামনে আসুক বাংলার(Bengal) মানুষের লাভক্ষতির হিসাব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) হাত ধরে রাজ্যে আসছে নয়া প্রকল্প ‘আবাস প্লাস’(Awas Plus)। আর সেই প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে পাশে থাকবে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার।

আরও পড়ুন সৌজন্যের আবহ ধরে রাখতে বঙ্গ বিজেপির রাশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা(Pradhanmantri Awas Yojna) প্রকল্পে মোদি সরকার সারা দেশে ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৩ কোটি পাকা বাড়ি তৈরির লক্ষ্য নিয়েছিল। মূলত গৃহহীনদের মাথার ওপর পাকা ছাদ করে দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিল মোদি সরকার। কিন্তু মাঝে হানা দিয়েছিল কোভিড। তার জেরে এই প্রকল্পের কাজ বেশ কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। ৩ কোটির মধ্যে ২ কোটি বাড়ি নির্মাণের কাজ এগিয়েছে অনেকটাই। তবে এর মধ্যে ৮৫ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের কাজ মাঝপথেই আটকে রয়েছে অর্থের অভাবে। কেননা কেন্দ্রীয় বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য কাঙ্ক্ষিত অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। এখানেই এবার রাজ্য সরকারগুলিকে পাশে টানতে চাইছে মোদি সরকার যাতে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে ৩ কোটি বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলা যায়। বাংলার লাভ এখানেই। বঙ্গ বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজ রাজ্য সরকার বাংলার বাড়ি(Banglar Bari) নাম করে চালাচ্ছে। অর্থাৎ কেন্দ্র টাকা দিলেও তা রাজ্যের কাজ হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। যদিও এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র দেয় ৬০ শতাংশ অর্থ ও বাকি ৪০ শতাংশ অর্থ দেয় রাজ্য।

আরও পড়ুন ১৭ ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, মমতার সঙ্গে বৈঠক

এই অভিযোগের জেরে কেন্দ্র সরকার বাংলার ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের জন্য টাকা আটকে দেয়। রাজ্য সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল বাংলার ৪৯ লক্ষ মানুষের মাথার ওপর পাকা ছাদ গেঁথে দেওয়ার। কিন্তু কেন্দ্র টাকা আটকে দেওয়ায় সেই কাজ ধাক্কা খেয়েছে অনেকটাই। তবে বিরোধ এখন মিটেছে। কেন্দ্র ফের টাকা পাঠাতে শুরু করেছে। ১১ লক্ষ মানুষের জন্য কেন্দ্র সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাংলাকে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশ দিয়েছে আগামী একমাসের মধ্যে এই ১১ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা যেন চলে যায়। তার জেরে রাজ্য সরকারও ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার টার্গেট বেঁধে দিয়েছে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে। কিন্তু তারপরেই গল্পটা শেষ হয়ে যাচ্ছে না। রাজ্যের বাকি ৩৮ লক্ষ মানুষের জন্যও কেন্দ্রের টাকা পেতে ঝাঁপাচ্ছে নবান্ন। ওই ৩৮ লক্ষ মানুষের মাথার ওপর পাকা ছাদ গড়ে দিতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেইকারণেই রাজ্য সরকার আনছে নয়া প্রকল্প ‘আবাস প্লাস’। এই প্রকল্পের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রকল্পও। দুতি প্রকল্পের নামই থাকবে নির্মীয়মান বাড়ির জন্য। মোদি সরকারও ২০২৪ সালের আগে ৩ কোটি বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে চায়। সেই জন্য খুব শীঘ্রই তাঁরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে আরও ২৮ হাজার কোটি টাকা নতুন করে বরাদ্দ করতে চলেছে। তার মধ্যে বাংলার জন্য বরাদ্দ হতে পারে আরও প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যেই বাংলায় ৪৯ লক্ষ মানুষের মাথায় পাকা ছাদ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলতে চায় বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সাইবার প্রতারণায় উদ্ধার হওয়া সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা ফেরাল নাগেরবাজার থানা

ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ তৃণমূল নেতাদের তলব করল এনআইএ

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ

‘দিদিকে’ ভালোবেসে বিনা পারিশ্রমিকে দেওয়াল লিখনে ব্যস্ত অশীতিপর বোস দা

প্রচারে নেমেই স্থানীয় ‘ঠাম্মা’-কে জড়িয়ে ধরলেন রচনা

সোমবার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে যাবে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর