নিজস্ব প্রতিবেদক: বাম (Left) নেতা ছিলেন বৈঠকে। এমন সময় মেসেঞ্জারে আসে ভিডিওকল। কল আসছে দেখে তা ধরে ফেলেন সিপিআই নেতা। আর স্ক্রিনে যা ফুটে ওঠে তাতে ঘাবড়ে ওঠেন বামনেতা। দেখা যায় স্ক্রিনে এক নগ্ন মহিলা। এর কয়েক সেকেন্ড পরেই কেটে যায় কল। তারপর আসে হুমকি। বলা হয়, ভিডিওকল ধরার সময় ফুটে উঠেছে ওই নেতার মুখ। তা রেকর্ড করা হয়েছে। টাকা না দিলে সেই ছবি- ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই ধরণের কারবারের জন্য বারবার উঠে এসেছে ভরতপুর গ্যাং- এর নাম। এবার তার শিকার হলেন, চন্দননগরের সিপিআইএম নেতা গোপাল শুক্ল। আর টাকা চেয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। বৈঠকে থাকাকালীন হঠাৎ করে মেসেঞ্জারে কল আসে গোপালের। তা ধরে বুঝতে পারেন ওটা ভিডিওকল। এরপরে চমকে ওঠেন তিনি। স্ক্রিনে দেখা যায়, এক নগ্ন মহিলাকে। তারপরেই কেটে যায় কল। ঘটনায় ঘাবড়ে যান ওই নেতা। এরপরেই মেসেজ করে শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। বলা হয় রেকর্ড করা হয়েছে ওই মুহূর্ত। তারপর চাওয়া হয় টাকা। না হলেই ফেসবুক, ইন্সটা, টুইটারে সেই ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। সাইবার অপরাধীদের এই কাজ নতুন নয়, বরঞ্চ বেশ চেনা এই সাইবার ক্রাইম (Cyber crime) । আর বিশেষ এই অপরাধের জন্য বারবার উঠে আসে ভরতপুর গ্যাং-এর নাম। অনেকেই এদের ফাঁদে পা দিয়ে টাকা দিয়ে বসেন সামাজিক সম্মানহানির আশঙ্কায়।
ভয় পেয়ে সেই ফাঁদে পা দেননি গোপাল। সোজাসুজি তিনি যান থানায়। দায়ের করেন অভিযোগ। জানা গিয়েছে, প্রথমে তিনি যান চন্দননগর থানায়। তারপর সেখান থেকে যান চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট অধীনস্থ সাইবার ক্রাইম থানায়। বিশেষ এই বিভাগ রয়েছে চুঁচুড়ায়। সেখানেই ঘটনার সমস্ত বিবরণ জানিয়ে দায়ের করেন অভিযোগ। বিশেষ এই বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন ওসি উৎপল সাহা।
এই প্রসঙ্গে গোপাল বলেন, ওই ভিডিওকলটি এসেছিল পায়েল রেড্ডি নামে এক ভুয়ো আকাউন্ট থেকে। ঘটনার পরে সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি ফেসবুকে লিখে জানান। এরকম হয় আগে শুনেছিলেন, তাই সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশসূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযোগ জমা পড়েছে। চলছে তদন্ত। প্রসঙ্গত, চুঁচুড়ার সাইবার ক্রাইম থানার উদ্যোগে সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘সাইবার লাইটস রিস্ক ডিভিশন’। তা সাবস্ক্রাইব করে ও নিয়মিত দেখে এইসব প্রতারণা থেকে সচেতন হতে বলা হয়েছে পুলিশের (Police) পক্ষ থেকে।