নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিজেপির রক্তক্ষরন অব্যাহত। আজ জেলার তপন ব্লকের দীপক্ষন্ডা অঞ্চলের প্রধানত বিজেপি ও বামদলের ১৫০০ মহিলা নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকেরা তাদের পুরনো দল ছেড়ে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসে যোগদান করেন। এই উপলক্ষে আজ জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে তপন বিধানসভার অন্তর্গত দাড়ালহাট এলাকায় এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এই যোগদান অনুষ্ঠানে জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী সহ জেলা তৃণমূলের অনান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত গত শুক্রবার এই তপন ব্লকে তৃণমূলের একটি যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেই যোগদান পর্বে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র উপস্থিত ছিলেন। সেদিনের যোগদান পর্বে মন্ত্রীর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে ১২ হাজার শাসক ‘বিরোধী দল, তার মধ্যে বেশির ভাগটাই ছিল বিজেপি ও বাম দলের নেতৃত্ব থেকে কর্মী সমর্থকরা। বাদ যায় নি কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরাও। সেদিনের দলবদলের অনুষ্ঠানে ভীড়ের চাপে মঞ্চ ভেঙে যায়। পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছিলেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। যদিও তার আঘাত তেমন গুরুতর না হওয়ায় বর্তমানে সুস্থ্য আছেন।
একদা বামেদের শক্তঘাটি বলে পরিচালিত তপন বিধানসভা ২০১১ পর থেকে তৃনমুলের দখলে থাকলেও মাঝে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ আর নেতৃত্বের অভাবে ২০২১ এসে তা বিজেপি নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে এই আসনে জয়লাভ করে। কিন্তু ২১ এর নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় না আসার দরুন ও বিজেপি নেতৃত্বের ও কেন্দ্রের জনবিরোধী হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে এই ব্লকের বিজেপি নেতৃত্ব থেকে কর্মী সমর্থকেরা ক্রমেই নিজেদের হতাশা প্রকাশ করে তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের কাজের প্রতি আস্থা জানিয়ে বিজেপি ও অনান্য বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শুরু করে। সেই ভাঙন খোদ রাজ্য বিজেপির সভাপতির নিজের জেলা হলেও তা রোধ করা তার ও জেলা বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষে কিছুতেই সম্ভবপর হচ্ছেনা। তাই জেলায় বিজেপির রক্তক্ষরন অব্যাহত। যদিও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব এই দলবদলে তাদের কোন নেতা, কর্মী, সমর্থক নেই বলে উড়িয়ে দেওয়ার মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে। কিন্তু সত্যটা তারা মানতে নারাজ।
এদিকে আগামী ৭ ডিসেম্বর জেলায় আসছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জী তার আগে এই বিপুল পরিমানে দল বদল তৃণমূলের মহিলা সংগঠনকে তো বটেই জেলা তৃণমূলের ও বেশ খানিকটা শক্তি বৃদ্ধি হল বলা যায়। তবে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী জেলায় আসার আগে আরো বিজেপির রক্তক্ষরন চলে কিনা এখন তাই দেখার, বলে জেলা রাজনৈতিক মহলের একাংশের আশঙ্কা।