এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জঙ্গলমহলে ৫টি সভা মমতার, চাপে গেরুয়া ব্রিগেড

কৌশিক দে সরকার: খুব শীঘ্রই জঙ্গলমহলের(Junglemahal) বুকে তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) প্রচারে নামতে চলেছেন বাংলার অগ্নিকন্যা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলমহলের বুকে মুখ্যমন্ত্রী ৫টি সভা করতে পারেন। পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur), ঝাড়গ্রাম(Jhargram) ও পুরুলিয়া(Purulia) জেলায় ১টি করে ও বাঁকুড়া(Bankura) জেলায় ২টি সভা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে প্রথম সভাটিই হতে চলেছে ঝাড়গ্রামের বুকে। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রচার নিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া ব্রিগেড। কেননা উনিশের লোকসভা ভোটে যে হাওয়া ছিল গেরুয়া শিবিরের অনুকূলে সেই হাওয়া আর এখন নেই। একই সঙ্গে জঙ্গলমহলের বুকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কার্যত চরমে উঠেছে। এই অবস্থায় মমতা নামের সাইক্লোন কীভাবে ঠেকাবে তাঁরা সেটা ভেবেই এখন রাতের ঘুম ছুটেছে জঙ্গলমহলের বিজেপি নেতাদের। 

আরও পড়ুন কলকাতা পুলিশ হাজির করছে নতুন App ‘বন্ধু’

উনিশের ভোটের জঙ্গলমহলে থাকা ৫টি লোকসভা কেন্দ্রেই জয়ী হয় বিজেপি(BJP)। কিন্তু একুশের ভোটে দেখা যায় সেই হাওয়া বেশ ধাক্কা খেয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়ী হয় তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার যে আসনগুলি জঙ্গলমহলের মধ্যে পড়ে তার সবকটিতেই ফোটে ঘাসফুল। মেদিনীপুর, শালবনী, কেশিয়াড়ী ও গড়বেতায় ফুটেছিল ঘাসফুল। আবার বাঁকুড়া জেলার ১২টি আসনের মধ্যে যে ৩টি আসন জঙ্গলমহলের মধ্যে পড়ে সেও রায়পুর, রানীবাঁধ ও তালডাংরায় জয়ী হয় তৃণমূল। পুরুলিয়া জেলার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে যে ৫টি বিধানসভা কেন্দ্র জঙ্গলমহলের মধ্যে পড়ে তার ৩টিতেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। সেই ৩টি কেন্দ্র হল মানবাজার, বাঘমুণ্ডি ও বান্দোয়ান। বাকি ২ কেন্দ্র বলরামপুর ও জূপুরে জয়ী হয় বিজেপি। সেই হিসাবে দেখতে গেলে গোটা জঙ্গলমহল এলাকায় এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন ২৭জুন থেকে পঞ্চায়েতের প্রচারে নামছেন অভিষেক

যে ৪টি জেলার মধ্যে জঙ্গলমহল ছড়িয়ে রয়েছে সেই ৪ জেলা অর্থাৎ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের জেলা পরিষদ দখল নেওয়ার মতো ক্ষমতায় এখন আর নেই বিজেপি। এমনকি জঙ্গলমহলে ছড়িয়ে থাকা ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা কোনও পঞ্চায়েত সমিতিও দখল করার মতো অবস্থায় নেই তাঁরা। এই অবস্থায় বিজেপির একমাত্র ভরসা ছিল এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি। কিন্তু সেখানে তাঁদের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলেরই বিক্ষুব্ধরা। তাঁরা নির্দল হয়ে ভোটে লড়াই করছেন। সেই অবস্থায় মমতা নামের সাইক্লোন যদি জঙ্গলমহলের বুকে একাধিক সভা করে তাহলে পদ্মবন ছারখার হতে বাধ্য। আর যদি পদ্মবন ছারখার হয় তাহলে জঙ্গলমহলের বুকে ২৪’র যুদ্ধেও ভরাডুবি হবে বিজেপির। ৫টি আসনই হাতছাড়া হবে। তবে তৃণমূলের জয়ের পথে কিছুটা হলেও কাঁটা হতে পারে কুড়মিদের বিক্ষোভ। তবে তা এখন এমন অবস্থায় নেই যে ৪টি জেলাকেই প্রভাবিত করবে। খুব জোর গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কিছু কিছু এলাকায় তাঁরা প্রভাব ফেলবে। দেখার বিষয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলে প্রচারে গিয়ে কুড়মিদের নিয়ে কী বলেন। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গরমের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিতে উদ্যোগী হল রাজগঞ্জ থানার পুলিশ

শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গে এবং রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড় – বৃষ্টি শুরু হবে

রাজ্য পুলিশদের জন্য পোস্টাল ব্যালট বন্ধ হওয়ায় সরব মমতা  

চাকরিহারা শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের এসএসসি ভবন অভিযান

মহিষের পিঠে চড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলেন পুরুলিয়ার নির্দল প্রার্থী

‘লাল ঝাণ্ডা ফেলে গেরুয়া পতাকা নিয়েছে’, সিপিএম- বিজেপিকে আক্রমণ অভিষেকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর