নিজস্ব প্রতিনিধি, ক্যানিং: আন্তর্জাতিক সর্প দিবসে গুণিনের কেরামতিতে মৃত্যু হল এক শিশুর । গুরুতর অসুস্থ শিশুটির দিদি ও মা । রবিবার আন্তর্জাতিক সর্প দিবসেই এই ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ের নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের পাঙ্গাশখালি গ্রামে(Pagaskhali Village) । শনিবার রাতে বিষধর সাপ কালাচের দংশনে ঘুমন্ত অবস্থায় আক্রান্ত হন মা ও দুই মেয়ে । মৃত্যু চার’বছরের শিশু হালিমা সর্দারের ।
পাঙ্গাশখালি গ্রামের বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্জাক সর্দার কাজ করেন আন্দামানে । তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেশমা, হালিমা সর্দারকে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কাটে । স্থানীয়রা এক ওঝা ও গুনিনের কাছে নিয়ে যায় তাদের। সেখানে গভীর রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলে ঝাড়ফুঁক । দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হলে হাল ছেড়ে দেয় ওঝা । প্রতিবেশীরা এরপর তিনজনকে তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে(Canning Hospital) নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য । সেখানে চার বছরের শিশুকন্যাটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অপর মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ক্যানিং হাসপাতাল থেকে বারুইপুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
সাপে কাটা দুই মেয়ের মা আপাতত ভর্তি আছেন ক্যানিং হাসপাতালে ।সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের সর্প চিকিৎসক দাবি করেন, সময়মতো তিনজন যদি হাসপাতালে আসতো তাহলে ছোট শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হতো। কিন্তু গ্রাম বাংলার কিছু কিছু মানুষ এখনো কুসংস্কারে আবদ্ধ। কোন গুনিন বা ওঝা বিষধর সাপে কাটা ব্যক্তিকে বাঁচাতে পারে না বলে দাবি করে চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক সর্প দিবসে মানুষজনের কাছে বার্তা সাপে কাটলে হাসপাতালে আসুন। সেখানেই সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা হবে। গুনিন বা ওঝার কাছে গিয়ে অকালে প্রাণ সংশয় ডেকে আনবেন না এবং সময় নষ্ট করবেন না।