নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ২৬ এপ্রিল বীরভূমের তৃণমুল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় সেহগল হোসেনের মেয়ের। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্য এক দেহরক্ষীরও। ওই দুর্ঘটনা এবং আরও বেশকিছু বিষয় খতিয়ে দেখতে এবার সেহগলের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা। বুধবার মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল থানার একবালনগর গ্রামের বাসিন্দা সেহগলের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য এর আগে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। বুধবার আবার তাঁর বাড়িতে হাজির হলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। গত ২৬ এপ্রিল রাতে অনুব্রতের দেহরক্ষী সেহগল হোসেন দুর্গাপুর থেকে গাড়িতে সপরিবার বাড়ি ফিরছিলেন। বীরভূমের ইলামবাজার থানা এলাকায় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মারা যায় সেহগলের ৬ বছরের মেয়ের।
অন্যদিকে বুধবারই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করা হয়েছে আবার। মূলত ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা অনুব্রতকে এদিন তলব করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকা হয়েছে। এর আগে অসুস্থতার কারণে এই মামালায় সিবিআইয়ের তলব এড়িয়ে যান বীরভূমের জেলা নেতা। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে এর আগে সিবিআই ৫ বার তাঁকে তলব করেছে। কিন্তু একবারও তিনি হাজিরা দেননি। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠে এসেছে। গত ২৪ মে অনুব্রত মণ্ডল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের চিঠি দিয়ে হাজিরা দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর সেই আবেদনে মান্যতা দেননি। আবেদনের ৯ দিনের মাথায় আবার অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।