এই মুহূর্তে




লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকায় বসল CCTV, পথ দেখাল সোনারপুরের প্রমীলা বাহিনী




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ইংরেজ শাসন শেষ হলেও নারীরা এখনও পরাধীন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দাস। কেউ স্বামীর দ্বারা অত্যাচারিত, আবার কেউ পাড়ার দাদা-কাকাদের যৌন লালসার শিকার। এমনকী বাড়িতেও মেয়েরা সুরক্ষিত নয়। কাছের মানুষের কাছেও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে মেয়ারা। যে তালিকায় রয়েছেন বাবা, দাদা, মেসোমশাই, পিসামশাই, দাদুও। বাচ্চা থেকে বুড়ো কেউই এখন সুরক্ষিত নয়। পাশাপাশি কর্মস্থলেও সুরক্ষিত নয় মেয়েরা। পুরুষদের চোখে মেয়েরা সর্বদা ভোগ্যবস্তু। যদিও মেয়েরা এখন অনেক্তা এগিয়ে। পুরুষদের কাঁধে কাঁধ রেখে আকাশ থেকে পাতাল, সর্বত্র বিচরণ করছেন মেয়েরা। তবুও পুরুষদের যৌন চোখ রাঙানিতে কাবু হয়ে যাচ্ছেন নারীরা।  সেই কারণেই এখন চারিদিকে শুধুই ধর্ষণ, গণধর্ষণের মতো একাধিক ঘটনা ঘটছে। যতই সাহসী হোক না কেন, ,মেয়েরা সর্বত্র অত্যাচারিত। পাশাপাশি রাস্তার বখাটে ছেলেদের শ্লীলতাহানি তো আছেই! তবে মেয়েদের সুরক্ষা দিতে কখনও কখনও প্রশাসনও ব্যর্থ। কিন্তু নিরাপত্তা শুধুই প্রশাসনের দায়িত্ব নয়, সচেতন নাগরিকেরা চাইলে নিজেরাই গড়ে তুলতে পারেন নিরাপত্তার প্রাচীর।

তাই এবার নিজেদের সুরক্ষার জন্যে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লীর মহিলারা অসাধ্য সাধন করলেন। বিভিন্ন অলিগলিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, টোন-টিটকারি আর মদ্যপদের উৎপাত থেকে বাঁচতে মহিলারা নিজেরাই চাঁদা তুলে বসালেন ১২টি সিসিটিভি ক্যামেরা। এই উদ্যোগে কার্যকর করতে কেউ চাকরির বেতনের অংশ, কেউ লক্ষ্মী ভাণ্ডার, আবার কেউ টিউশনের টাকা দিয়ে  সাহায্য করেছেন। শুধু তাই নয়, প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে তাঁরা গড়েছেন একটি নিজস্ব কন্ট্রোল রুম, যেখানে পালা করে নজর রাখবেন এলাকার প্রমীলা বাহিনী। যাতে পাড়ার মহিলারা বা বাচ্চারা বা ভিন জায়গা থেকে আগত মহিলারা সুরক্ষিত থাকতে পারেন। যাতে তাঁদের কোন পাড়ার পুরুষদের দ্বারা যৌন লালসার শিকার না হতে হয়। এ বিষয়ে ওই এলাকার একজন বৃদ্ধা, ঝর্ণা চক্রবর্তী বলেছেন, “এই উদ্যোগে আমি বার্ধক্যভাতার টাকা দিয়েছি, এখন মনে হচ্ছে আমিও সমাজের জন্যে কিছু করতে পারছি। এই টাকাটা সবচেয়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করছি। আগে ভয় করত, এখন বুকটা শক্ত করে বেরোতে পারি।”

এই অভিনব উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন কাউন্সিলর সন্দীপ নস্করও। তিনি জানান, “মেন রোডে সিসিটিভি বসানো গেলেও অলিগলিতে নজর দেওয়া কঠিন ছিল। এই মহিলাদের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অনন্য উদাহরণ। সচেতন নাগরিকদের এই প্রয়াস বুঝিয়ে দিল, সুরক্ষার চাবিকাঠি কখনও কখনও সাধারণ মানুষের হাতেই থাকে।” ক্ষমতায় আসার পরেই মেয়েদের সুরক্ষার জন্যে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকার। তার মধ্যে একটি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। যেটিতে নাম নথিভুক্ত করলে মাসে মাসেই মহিলারা ১০০০ টাকা করে সাহায্য পাচ্ছেন। যাতে স্বামীর উপর নির্ভরশীল থাকা মহিলারাও নিজের উদ্যোগে কিছু করার কথা ভাবতে পারছেন।  এবার সেই টাকার কিছু অংশ কাজে লাগিয়ও রাস্তায় রাস্তায় সিসিটিভি লাগিয়ে দারুণ উদ্যোগ নিলেন সোনারপুরের মহিলা বাহিনী। এতে করে মুখ্যমন্ত্রীর মেয়েদের জন্যে একাধিক উদ্যোগও কোথাও না কোথাও সফল হয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বুধবার নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ডে সরলেও সমুদ্র থাকবে উত্তাল, ৪ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানিকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ ডালখোলা

ফাঁকা ট্রেনে মহিলাকে গণধর্ষণের পর ছুঁড়ে ফেলা হল চলন্ত ট্রেনের সামনে, নারকীয় ঘটনা হরিয়ানায়

ভরতপুরে জাল আধারকার্ড চক্র,পুলিশের জালে ২পাণ্ডা

সোনারপুর কলেজে ছাত্রীকে দিয়ে মাথা মালিশে অভিযুক্ত তৃণমূলের ছাত্র নেতা

ইংলিশবাজারে সংঘর্ষে আহত পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা, ভাঙচুর দোকানপাট, বাড়িঘর

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ