নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোটের ময়দানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে(TMC) হারাতে পারছে না নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) দল বিজেপি(BJP)। তাই একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে দিয়ে বাংলাকে(Bengal) কার্যত ভাতে মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই লক্ষ্যেই বিগত ২ বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের পর ১০০ দিনের কাজের(100 Days Work Project) প্রকল্পে কোনও টাকা আসেনি বাংলায়। এই খাতে বকেয়া প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ১০০ দিনের কাজ। বহুবার নানা নথি দেওয়া থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার চিঠি লিখলেও এই প্রকল্পের জন্য একটিও টাকা ঠেকায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। আর এর জেরে বাংলায় আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন Job Card Holders-রা। এই অবস্থায় রাজ্যকে নতুন করে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তার জেরে মনে করা হচ্ছে হয়তো এবার এই প্রকল্পের বকেয়া টাকা পাঠাতে শুরু করবে মোদি সরকার(Modi Government)।
আরও পড়ুন ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, ১৫৫০ কোটি টাকার Guarantor হচ্ছে রাজ্য
১০০ দিনের কাজ বা মনরেগায় যাঁরা যুক্ত, তাঁদের Mobile Number Update করতে হবে, এই মর্মেই কেন্দ্র থেকে রাজ্যের কাছে চিঠি এসেছে। কেন্দ্রের সেই নির্দেশ মেনে নবান্নের তরফে রাজ্যের প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ৩১ মে’র মধ্যে এই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ১০০ দিন কাজের প্রকল্পের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের ফোন নম্বর যদি NREGS Portal-এ Upload না-থাকে, তাহলে তা দ্রুত করে ফেলতে হবে। কারও নম্বর পাল্টে গেলে নতুন ফোন নম্বর দিয়ে সেখানে তা Upload করতে হবে। কিন্তু কেন এই নির্দেশ দেওয়া হল? নবান্নের আধিকারিকদের দাবি, কেন্দ্রের অভিমত এই প্রকল্পের কর্মীদের প্রতিনিয়ত ভাতা, হাজিরা ইত্যাদি তথ্য জানানোর জন্য এটা জরুরি। কারও Mobile Number এই Portal-এ না-থাকলে তাঁকে নিয়মিত তথ্য পাঠানো যাবে না। আরও একটি বিষয় হল, দেওয়া নম্বরটি অবশ্যই সক্রিয় থাকতে হবে এবং একটি নম্বর একজন কর্মীর জন্যই গ্রাহ্য হবে।
আরও পড়ুন নিরাপত্তা তহবিলের খরচ দেখতে বাংলায় আসছে কেন্দ্রীয় দল
বাংলায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ১ কোটিরও বেশি Job Card Holder আছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কেন্দ্র যেভাবে এই প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে তাতে করে সেই নির্বাচনে তো বটেই আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনেও জনরোষ বিজেপির বিরুদ্ধে আছড়ে পড়বে বলে গেরুয়া শিবিরেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কেন এই প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা হয়েছে সেই কারণ জানতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে। সেই মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলার যাতে দ্রুত শুনানি হয় তার জন্যও আর্জি জানানো হয়েছে। তার মধ্যেই কেন্দ্র থেকে এল নয়া নির্দেশ। এখন দেখার বিষয় টাকা কবে আসে।
