নিজস্ব প্রতিনিধি: মাঝে মাত্র আর ১টা দিন। আগামী বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তিনি যাবেন দেগঙ্গার(Deganga) চাকলায়(Chakla)। সেখানে তিনি প্রথমে লোকনাথ মন্দিরে পুজো দেবেন। এরপর মন্দিরের পাশেই করবেন কর্মিসভা করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে কার্যত প্রতীক্ষার প্রহর গুণছে চাকলা ও দেগঙ্গাবাসী। কেননা মুখ্যমন্ত্রী আসা মানেই বাড়তি কিছু প্রাপ্তি। চাকলা লোকনাথ মন্দিরে সারা বছরই ভিড় থাকে ভক্তদের। কিন্তু এবারে মুখ্যমন্ত্রীর সফর উপলক্ষ্যে সেখানে যেন বাড়তি সাজের ভিড়। লোকনাথ বাবার মন্দিরকে কেন্দ্র করে নতুন করে সেজে উঠেছে এলাকা। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে মন্দির কমিটিও। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে উপহারও দেবেন বলে ঠিক করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সফরে নিরাপত্তার যাতে কোনও খামতি না থাকে তার জন্য ইতিমধ্যেই মন্দির ও সভাস্থল পরিদর্শন সেরে ফেলেছেন জেলার প্রশাসনিক কর্তা ও পুলিশি আধিকারিকেরা। হেলিপ্যাডের জায়গা, মঞ্চ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজকর্মের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।
দেগঙ্গার লোকনাথ মন্দিরের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সেই টাকায় ভোগ বিতরণের ঘর, আধুনিক রান্নাঘর, দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের আদলে ডালার দোকান, তোরণ, মন্দিরে আসার রাস্তাঘাটের সংস্কার, দু’টি গেস্টহাউস তৈরির কাজ প্রায় শেষ। মন্দিরের যে সমস্ত কাজ হয়েছে সেই সব কিছু খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সবের উদ্বোধনও করবেন। মন্দির কমিটির তরফে জানা গিয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর হাওড়ার ডুমুরজলা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় হেলিকপ্টারে করে চাকলায় আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দিরের ২৫০ মিটার দূরে সেই জন্য অস্থায়ীভাবে হেলিপ্যাডও তৈরি হয়েছে। মন্দিরের মূল গেটে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন মন্দির কমিটির সভাপতি সহ অন্যরা। উত্তরীয়, শাল ও ফুল দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেবেন তাঁরা। এরপর লোকনাথ মন্দিরে পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্য পুজোর ডালা সাজিয়ে রেখেছে মন্দির কমিটি।
এরপর মন্দিরের অদূরে মঞ্চে আসবেন তিনি। সেখানেই লোকনাথের মূর্তি মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেবে মন্দির কমিটি। মঞ্চ থেকেই মন্দিরের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘লোকোত্তম’ নামে একটি স্যুভেনিরের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ‘সবার অন্তরে লোকনাথ’ নামক একটি বই মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ের এই কর্মসূচি শেষ করেই মমতা চলে আসবেন কর্মিসভায়। দলের সর্বস্তরের নেতা, কর্মীদের নিয়ে সভা করবেন তিনি। সভাস্থলে কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত হবে। কিন্তু, যারা সভাস্থলে প্রবেশের আগেই আটকে যাবেন, তাঁদের জন্য জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে রাস্তায়। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সভা থেকেই রণকৌশল নিয়ে দলের(TMC) নেতাকর্মীদের বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সভায় দলের সব সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্যরা, জেলার প্রতিটি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। আর থাকবেন দলের নেতাকর্মী থেকে সাধারন মানুষ।