এই মুহূর্তে




বিশ্ব খাদ্য দিবসে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিনিধি: মানুষের জীবনে বাঁচতে গেলে তিনটি বিষয় ভীষন গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলি হল খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান। খাদ্য ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। ১৬ অক্টোবর সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় খাদ্য দিবস। বিশ্ব খাদ্য দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন। সেখানে দুর্যোগ দুর্গতদের খাদ্য, বস্ত্রের জোগান দিচ্ছেন তিনি। বাসস্থানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বিশ্ব খাদ্য দিবসে সকলকে শুভেচ্ছা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের চালু করা খাদ্যসাথী প্রকল্পে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন।

নিজের X হ্যান্ডেলে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “সকলকে জানাই বিশ্ব খাদ্য দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা! রাজ্যের সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা আমাদের সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্যে ২০১১ সালের পর আমরা অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ করেছি। যেমন – খাদ্যসাথীপ্রকল্পে রাজ্যের প্রায় ৯ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছি আমরা। এর মধ্যে প্রতি মাসে রাজ্যে ৭ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ “দুয়ারে রেশন” এর মাধ্যমে তাঁদের বাড়ির দোরগোড়ায় বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন। অবশিষ্ট উপভোক্তারা নিজেদের পছন্দমতো রেশন দোকান থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করছেন।”

 

খাদ্যসাথী থেকে জঙ্গলমহল কতখানি উপকৃত তাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, “জঙ্গল মহলের মানুষজন, আয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষক পরিবার, টোটো জনজাতি এবং চা বাগানের শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ৫৪ লক্ষ মানুষকে বিশেষ প্যাকেজে বর্ধিত হারে খাদ্যশস্য প্রদান করা হচ্ছে। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছট পুজো এবং রমজান মাসে ও ঈদ উৎসব উপলক্ষে দরিদ্রতম পরিবারগুলিকে চিনি, ময়দা এবং ছোলা (কেবল রমজান মাসে) ভর্তুকি মূল্যে প্রদান করা হয়। মাপ্রকল্পে গরীব মানুষদের দুপুরের খাবার মাত্র ৫ টাকায় দেওয়া হচ্ছে। ৩৫৬টি মা ক্যান্টিন’-এ ৮ কোটি ৫৮ লক্ষ দরিদ্র মানুষ উপকৃত হয়েছেন। খাদ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে খাদ্য সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য রাজ্যের ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার কৃষকবন্ধুর কাছ থেকে চলতি বছরে রেকর্ড পরিমাণ ৫৬ লক্ষ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ধান রাজ্য সরকার সরাসরি কিনেছে। এর ফলে আমার কৃষকরাও তাঁদের ধানের ন্যায্য মূল্য পেয়েছেন যা সরাসরি তাঁদের ব্যাংক একাউন্টে জমা পরেছে। রাজ্যজুড়ে সুফল বাংলার ৭৪৫টি আউটলেট থেকে বাংলার মানুষ সব্জি, ফল বাজারদরের থেকে অনেক কমদামে পাচ্ছেন। এখন সুফল বাংলাতে মাছও সুলভে বিক্রি হচ্ছে। মানুষের সুবিধার্থে এই আউটলেট আরো অনেক বাড়ানো হচ্ছে। সকল মানুষের খাদ্যের অধিকার বজায় রাখার জন্য আমাদের এই সার্বিক প্রচেষ্টা আগামীদিনেও একইভাবে অব্যাহত থাকবে।”

উত্তরবঙ্গ থেকে শুক্রবার কলকাতা ফিরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে উত্তরবঙ্গের দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিলি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেরেছেন একাধিক প্রশাসনিক বৈঠক। জানিয়েছেন, পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক তিনি উত্তরবঙ্গবাসীর পাশে থাকবেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাতে বন্দি কাকদ্বীপের ১৪ ম‍ৎস্যজীবী

বন্যাবিধ্বস্ত গ্রামে ত্রাণ হাতে পৌঁছালেন মন্ত্রী, দিলেন আশ্বাস

দার্জিলিঙে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি এঁকেছিলেন মমতা, সেই বাড়ি পুড়ে ছাই

দুর্গাপুরে কালীপুজোয় এবারের থিম জৈন মন্দির, চোখের সামনে ভেসে উঠবে কালাপানির অত্যাচার

সাঁইথিয়ায় বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী কে? ঘোষণা করে দিলেন কেষ্ট

পদ্ম রাজ্যে সন্ত্রাসের শিকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার হিড়িক, আবেদন ছাড়াল ৭৫ হাজার, শুরু বাছাই

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ