নিজস্ব প্রতিনিধি: সিআইডিকে (CID) তদন্তে বাধা দিল দিল্লি পুলিশ (DELHI POLICE)! হাওড়ার পাঁচলায় ৩ কংগ্রেস বিধায়কের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। লালবাজার সংলগ্ন যেই আবাসনের এক ব্যবসায়ীর অফিস থেকে বিপুল টাকা নিয়ে আসা হয়েছিল সেই অফিসে গতকাল হানা দেয় সিআইডি। উদ্ধার হয়েছিল ৩ লক্ষ ৩ হাজার ৭০০ টাকা, ২৫০ টি রুপোর কয়েন, একাধিক নথি, চেক ও পাসপোর্ট। এই কাণ্ডে বিজেপি, হাওয়ালা যোগসূত্র পেয়েছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। সিআইডির দাবি, ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ককে জেরা করে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলতেই এই টাকা! সেই তদন্তের কাজে দিল্লি গিয়েছিল সিআইডি কর্তারা। আর সেখানে তদন্তে বাধা দিল দিল্লি পুলিশ। করল আটক!
এই ঘটনা ট্যুইট করে সিআইডি। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ সিআইডি কর্তাকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে সাউথ ক্যাম্পাস থানায়। জানা গিয়েছে আটকে রাখা হয়েছে সিআইডির ১ ইন্সপেক্টর, ২ এসআই এবং ১ এএসআইকে। সূত্রের খবর, এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিতেই তাঁদের কাজে বাধা দেওয়া হয়। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার আশঙ্কা, এই ফাঁকে লোপাট করা হতে পারে যাবতীয় তথ্য। জট কাটাতে কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছেন সিআইডির ৩ শীর্ষ কর্তা। সেই দলে রয়েছেন ১ জন এডিজি পদমর্যাদার আধিকারিক, ২ জন আইজি। সিআইডি’র দাবি, নিয়ম মাফিক আগে স্থানীয় থানায় জানিয়েই অভিযান চালিয়েছিল সিআইডি। তবুও কাজে বাধা দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত ঝাড়খণ্ডের ৩ জন কংগ্রেস বিধায়কের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। হাওড়ার পাঁচলায় তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তাঁরা জেল হেফাজতে রয়েছেন। এই কাণ্ডের তদন্তে নেমেছে সিআইডি। গত মঙ্গলবার লালবাজারের কাছে একটি বিল্ডিংয়ে তল্লাশি চালায় সিআইডি।
In course of investigation of PanchlaPS Case No 276/22 a team of CID which had gone to Delhi to execute search warrant issued by Ld Court has been stopped from doing their lawful duty on the direction of @dcp_southwest. Personal intervention of @CPDelhi is requested.@DelhiPolice pic.twitter.com/xEiKFa575p
— CID West Bengal (@CIDWestBengal) August 3, 2022
সিআইডির দাবি, ধৃতরা জেরায় স্বীকার করেছে ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলতেই আনা হয়েছিল এই বিপুল পরিমাণ টাকা। ধৃতদের দাবি, এই ঘটনায় যুক্ত জেএমএম দলের অনেক বিধায়ক। ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলা এখন সময়ের অপেক্ষা। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছেন, ৩ কংগ্রেস বিধায়ক (টাকা উদ্ধারের পর দল থেকে সাসপেণ্ড) দেখা করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।
জানা গিয়েছে, বিপুল পরিমাণ ওই টাকা বিধায়কদের কাছে নিয়ে এসেছিলেন এক যুব কংগ্রেস কর্মী। বিধায়করা ছিলেন সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে। ওই হোটেলের এক কর্মীর কাছ থেকে স্কুটার নিয়েছিলেন যুব কংগ্রেস কর্মী। সেই স্কুটার নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন লালবাজারের কাছে থাকা বিকানির বিল্ডিংয়ে। সেখান থেকেই এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ এই টাকা আনা হয়েছিল। সেখানেই তল্লাশি চালায় সিআইডি। উদ্ধার হয় উদ্ধার হয়েছিল ৩ লক্ষ ৩ হাজার ৭০০ টাকা, ২৫০ টি রুপোর কয়েন, একাধিক নথি, চেক ও পাসপোর্ট। সেই তদন্তেই দিল্লি গিয়েছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা।