নিজস্ব প্রতিনিধি: গরু পাচার মামলায় তদন্তে আরও গতি বাড়িয়েছে সিআইডি। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামূল। গত বৃহস্পতিবার তিহার জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করেছিল সিআইডি (CID)। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে ভাগ্নেদের নামেই দোষ চাপাচ্ছেন এনামূল।
সিআইডি সূত্রে খবর, এনামূলের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তবে তাঁকে আবারও জেরা করতে চাইছে রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা। এখনও অভিযুক্তের বয়ানে তাঁরা ধোঁয়াশা দেখতে পাচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এতে সন্তুষ্ট নয় সিআইডি।
জানা গিয়েছে, তদন্তকারী আধিকারিকদের এনামূল বলেছেন, তিনি না কি শুধু কলকাতা এবং দিল্লিতে থাকা ব্যবসার কাজ করতেন। এরপরেই তাঁর দাবি, যা হয়েছে সব ভারত মার্বেল দোকান থেকে। এনামূলের আরও দাবি, ‘যা করেছে ভাগ্নেরা করেছে’। উল্লেখ্য, গরুপাচার কাণ্ডে সিআইডি চার্জশিটে নাম রয়েছে এনামূলের তিন ভাগ্নেরও। অভিযুক্তদের নাম- হুমায়ুন কবীর, জাহাঙ্গির, মেহেদি হাসান।
সিআইডি’র অনুমান, গরুপাচারের কালো টাকা একটি কোম্পানির নামে বিদেশে পাঠানো হত। এই কোম্পানিকেই ব্যবসা বলে চালাতেন এনামূল। আড়ালে চলত অন্য কাজ। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এনামূল গ্রেফতার হওয়ার পরেও এই কোম্পানি খোলা ছিল দীর্ঘ দিন। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ দিয়ে করিডোর তৈরি করে গরুপাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর নামে।