নিজস্ব প্রতিনিধি: নিচুতলায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রশাসনের সেতুবন্ধনের গুরুদায়িত্ব তাঁদের। কিন্তু নিয়মিত সময়ে অফিসে কিংবা থানায় হাজির না হওয়ার মতো অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায় বিডিও ও আইসি’দের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের যে কতটা সারবত্তা রয়েছে বুধবার চোখের সামনেই তার প্রমাণ পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রশাসনের নিচুতলার আধিকারিকদের এমন কান্ডজ্ঞানহীনতায় বেজায় চটেছেন তিনি।
মধ্যমগ্রাম পুরসভার নজরুল শতবার্ষিকী সদনে এদিন জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। দুপুর একটা নাগাদ সেই বৈঠকে যোগ দিতে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সহ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক ও বিভিন্ন দফতরের সচিবরা। মুখ্যমন্ত্রী সভায় পৌঁছে দেখেন জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা নিজেদের আসনে বসে রয়েছেন। কিন্তু অধিকাংশ বিডিও ও থানার আইসি’রা গরহাজির।
আর এমন কাণ্ডজ্ঞানহীনতা দেখে মেজাজ আর ধরে রাখতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে দাঁড়িয়েই ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘বিডিও’রা নেই কেন? আই সি নেই, বিডিও নেই, কেন? এলাকায় এসে কেন ভার্চুয়াল মিটিং করব?এমন হলে মিটিংই করব না।’ এর পরেই রেগে মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে উদ্যত হন তিনি। মঞ্চে হাজির থাকা বাকিদের অনুরোধে ফের মঞ্চে ফিরে এসে বলেন, ‘কেউ নেই। তাহলে কাদের নিয়ে মিটিং করব।’
মুখ্যমন্ত্রী যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করছিলেন, তখন নজরল শতবার্ষিকী সদনের সামনে রোদ পোহাতে ব্যস্ত ছিলেন অধিকাংশ বিডিও ও আইসি। প্রশাসনিক প্রধানের ক্ষোভের কথা জানতে পেরে তড়িঘড়ি করে সভাকক্ষে ঢোকেন। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকে প্রশাসনের একাংশের এমন গয়ংগচ্ছ মনোভাবে ক্ষুব্ধ জেলা শাসক ও বারাসতের পুলিশ সুপারও। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী হাজির হওয়ার আগেই কেন বিডিও ও আইসিরা সভায় পৌঁছলেন না তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে কৈফিয়ত তলবও করা হচ্ছে।