নিজস্ব প্রতিনিধি: বনবিবির মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)। তারপরে হিঙ্গলগঞ্জের সামশেরনগরে সভা থেকে তিনি বলেন, হিঙ্গলগঞ্জের সার্বিক উন্নয়ন হবে। হবে পর্যটন কেন্দ্র। এমনকি পরিবহন ব্যবস্থার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, সুন্দরবন জুড়ে পর্যটনের ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বনবিবির মন্দিরের উন্নয়ন করা হবে। মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলকে সাজিয়ে তোলা হবে। শুধু তাই নয়, তাঁর প্রতিশ্রুতি, হিঙ্গলগঞ্জ জুড়েই উন্নয়ন করা হবে। গড়ে তোলা হবে নয়া পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটকদের থাকার সুবিধার জন্য ‘হোম স্টে’ চালু করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ‘হোম স্টে’ করতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিজেদের বাড়িতেই তা করা যায়। ওই হোম স্টে তে থাকে খাওয়া, শোয়া এবং বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা। এর জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুদান ও প্রশিক্ষণ দেয় সরকার। এই সব হোম স্টে’তে পর্যটকরা থাকতে পারেন সামান্য টাকার বিনিময়ে। এই প্রকল্পে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান বাড়ে।
আরও পড়ুন: হিঙ্গলগঞ্জ বনবিবির মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এই এলাকায় পরিবহন ব্যবস্থা খুব একটা ভালো নয়। বাস চলাচল করে অত্যন্ত কম। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এই অঞ্চলে বাস বাড়ানো হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিধবা ভাতা এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন জানানোর জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মৎস্যজীবীদের জন্যও বিশেষ ইনস্যুরেন্স চালু করা হবে। তিনি বলেন, হিঙ্গলগঞ্জ এবং সন্দেশখালিতে গড়ে তোলা হবে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি উদ্যোগে সুন্দরবনে ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ এবং ঘাস লাগানো হয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার জন্য।
উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রামের কনকদুর্গা, রামেশ্বর, গুপ্তমণি মন্দির এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কর্ণগড় মন্দিরের সংস্কারের পর এবার মুখ্যমন্ত্রীর নজর হিঙ্গলগঞ্জের বনবিবি মন্দির সংস্কারে। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের সার্বিক উন্নয়নে্র দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছেন তিনি।