নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাকৃতিক দুর্যোগ বারবার থাবা বসিয়েছে সুন্দরবনে। সেই ধাক্কা প্রতিবারই সামলেছে সুন্দরবন। তবে সামান্য বৃষ্টি বা বন্যাতে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তে হয় সুন্দরবনবাসীকে। সেই সমস্যার সমাধানের জন্য চাই ‘মাস্টারপ্ল্যান’। মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE) বারবার বলেছেন এই কথা। স্থানীয়দের দাবিও তাই। হিঙ্গলগঞ্জের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি তিনি নিজে কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরবেন।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাস্টারপ্ল্যানের কথা তিনি কেন্দ্রকে জানাবেন। সেই সঙ্গে তাঁর প্রতিশ্রুতি, বাঁধ-পরিবহন ব্যবস্থা-স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেবে রাজ্য সরকার। সুন্দরবন জুড়ে পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়ন সহ সার্বিক উন্নয়নে বাড়তি নজর দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্প হয় কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘাতেও মাস্টারপ্ল্যানের দাবি দীর্ঘ দিনের। তা নিয়েও উদ্যোগী রাজ্য। এদিন হিঙ্গলগঞ্জ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলার জন্য সুন্দরবনে ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ এবং বিশেষ ঘাস লাগানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রী হিঙ্গলগঞ্জ বনবিবির মন্দিরে পুজো দেন। এরপরে করেন বৃক্ষপুজোও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং সাংসদ নুসরত জাহান। এই মন্দিরের সংস্কার এবং মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলের উন্নয়ন করা হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পর্যটনের উন্নয়নে একাধিক ঘোষণা ও প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালেও বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য মাস্টারপ্ল্যানের দাবি ছিল দীর্ঘ বছরের। অবশেষে গত এপ্রিলে রাজ্যের সেই আবেদনে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র এবং রাজ্য ৬০-৪০ শতাংশ অনুপাতে হবে মাস্টারপ্ল্যানের কাজ। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী বারবার সরব হয়েছিলেন ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে। সংসদে এই বিষয়টি বারবার তুলেছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব। দিল্লিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বিশেষ এই দল গঠন করা হয়েছিল মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে। এই দলে ছিলেন সৌমেন মহাপাত্র, শিউলি সাহা, দেব, জুন মালিয়া, অজিত মাইতি প্রমুখ। প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ড: মানসরঞ্জন ভূঁইয়া।