নিজস্ব প্রতিনিধি: কাজাখিস্থানে এশিয়ান ওমেন জুনিয়র হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ভারতের জুনিয়র হ্যান্ডবল টিমের হয়ে খেলেছিলেন বাংলার দুই কন্যা। জলপাইগুড়ির মৌমিতা রায় তার মধ্যে একজন। ভারতীয় জুনিয়র হ্যান্ডবল টিমের হয়ে খেলে সদ্য ফিরেছেন বাড়ি। বাড়ি ফিরতেই তাঁকে স্বাগত জানাতে ভিড় জমালেন গ্রামবাসীরা।
মৌমিতা জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের হেলা পাকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন মৌমিতা রায়। এদিন হেলাপাকড়ি নাগরিক মঞ্চ, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন ক্লাব ও স্থানীয় বাসিন্দারা যৌথ ভাবে মৌমিতাকে স্বাগত জানায়।পুষ্পস্তবক এবং ভারতের জাতীয় পতাকা দিয়ে সম্বর্ধনা জানানো হয় তাঁকে। মৌমিতা গ্রামে ফিরলে প্রথমে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরন করার পাশাপাশি তাঁকে ভারতীয় পতাকা মুড়িয়ে দিয়ে একটি হুড খোলা গাড়িতে চড়িয়ে সারা গ্রাম প্রদক্ষিন করে গাড়িটি। গ্রামের প্রিয় মেয়েকে স্বাগত জানাতে রাস্তার দু’ধারে কাতারে কাতারে মানুষের ঢল দেখা যায়।
মৌমিতার কোচ মঞ্জিল কাউসর বলেন, গ্রামে হ্যান্ডবল খেলার তেমন পরিকাঠামো ছিল না। পরে মৌমিতা সাই এ সুযোগ পায়। কিন্তু লক ডাউনে সে আবার গ্রামে ফিরে আসে। এরপর থেকে গ্রামেই প্র্যাকটিস চলছিল। মৌমিতার মা নিয়তি রায় জানান, স্কুলের শিক্ষকরা তাকে প্রচন্ড সাহায্য করেছে। এখন মৌমিতা আর শুধু আমার মেয়ে নয়। ও এখন গোটা দেশের মেয়ে।তাই কেউ যদি ওর পাশে দাঁড়ায় তবে আগামীতে ওর চলার পক্ষে সুবিধা হবে।
গ্রামের মেয়ে মৌমিতা অভাবকে সঙ্গী করে পড়াশোনা এবং খেলা চালিয়ে আসছেন। তাঁর বাবা জগৎ রায় একজন দিন মজুর। মৌমিতারা চার বোন। পরিবারের সেজ মেয়ে মৌমিতা। ছোট থেকেই অদম্য ইচ্ছে শক্তিতে ভরপুর। এই অদম্য ইচ্ছে শক্তিই তাঁকে ভারতীয় টিমের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলার সুযোগ করে দেয়। অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখালো মৌমিতা।