নিজস্ব প্রতিনিধি: আগেই বাঘের আতঙ্কের মাঝে গ্রাম থেকে গরু ও কুকুর উধাও হয়ে যাওয়ার খবর মিলেছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। এবার সেই নিখোঁজ গরুর ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হল ইসলামপুরের অজিতবাস কলোনি এলাকায়। গরুর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হওয়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে আরও ছড়িয়ে পড়েছে বাঘের আতঙ্ক।
শুক্রবার সকালে এক গ্রামবাসীর নিখোঁজ গরুটির ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান। গরুটির গলায় কোনও পশুর আক্রমণের চিহ্ন ছিল। এর পরেই এলাকার বাসিন্দারা খবর দেন স্থানীয় প্রধানকে। প্রধান এবং উপপ্রধান ঘটনাস্থল পৌঁছে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। এর পর তাঁরা খবর দেন বন দফতর ও পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং চোপড়া রেঞ্জের বনদফতরের কর্মীরা। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তারা। এই ঘটনা নিয়ে প্রতাপ সমাজদার নামে স্থান্য এক বাসিন্দা বলেন, ‘গরুর মৃতদেহ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। নিশ্চিত ভাবেই বাঘ এসেছে। এই এলাকা থেকে বাঘটিকে সরিয়ে দিতে হবে।’ স্থানীয় প্রধান রিঙ্কু দাস বলেন, ‘কোনও একটা হ্রিংস পশুতো আছেই। গরুর মৃতদেহ টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত আছেন।’ অন্যদিকে এটি যে বাঘ করেছে তা মানতে নারাজ বন দফতরের কর্মীরা। চোপড়া রেঞ্জের বন বিভাগের আধিকারিক দাবী করেন, ‘এটা বাঘ নয়। আমরা গত কালও বলেছি আজও বলছি এটা ভাম হতে পারে। এলাকাবাসীকে সাবধানে থাকতে অনুরোধ করব। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা প্রানীটির খোঁজ চালানোর জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ইসলামপুরের অজিতবাস কলোনির বাসিন্দারা দাবি করেন, বুধবার সন্ধ্যায় একটি বাঘ একটা কুকুরের শাবককে টেনে নিয়ে চা বাগানের ভেতরে চলে যায়। সেদিনই স্থানীয় এক গ্রামবাসী দাবি করেন, তাদের একটি গরুকে পাওয়া যাচ্ছে না। চা বাগান লাগোয়া এলাকার নরম মাটিতে কোনও পশুর পায়ের ছাপেরও দেখা মিলেছিল। সেই ঘটনায় খবর দেওয়া হয় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে। খবর দেওয়া হয় বন দফতরেও। বৃহস্পতিবার বিকেলে বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। বনদফতরের কর্মীরা মাটিতে থাকা পায়ের ছাপ পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে জানান, সেটি বাঘের পায়ের ছাপ নয়। অন্য কোনও পশুর হতে পারে বলে জানান বন কর্মীরা। (ছবি প্রতীকী)