নিজস্ব প্রতিনিধি: পাঠ্যপুস্তকে (Syllabus) স্থান পাক রানি শিরোমণি ও কর্ণগড়। স্থান পাক অধ্যায় হিসেবে, এমনটাই দাবি সাংবাদিক (Journalist) কুণাল ঘোষ এবং গবেষক ও আইনজীবী (Advocate) তীর্থঙ্কর ভকতের। এই দাবি দীর্ঘ বছরের। সম্প্রতি রাজ্যের স্কুল শিক্ষা কমিটিতে রদবদল হয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর (Education Minister) ব্রাত্য বসুর নির্দেশে। পুরানো কমিটি (Committee) ভেঙে গঠিত হয়েছে নতুন কমিটি। জানা গিয়েছে, নয়া কমিটির মেয়াদ থাকবে ১ বছর। প্রতিটি বিষয়ের জন্য থাকছেন একজন করে বিশেষজ্ঞ। তাঁরাই একএকটি বিষয়ের মেন্টর। জানা গিয়েছে এই কমিটিতে রয়েছেন নিট, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাই নতুন কমিটির কাছে এই দাবি যাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্কুল পাঠ্যে অধ্যায় হিসেবে স্থান পাক, দীর্ঘ বছরের এই দাবি সাংবাদিক কুণাল ঘোষ ও আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভগতের। তীর্থঙ্কর ভগত বিশিষ্ট গবেষক। তিনিই প্রথম রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ফেলেছিলেন রানি শিরোমণি বিষয়ে। সাংবাদিক কুণাল ঘোষ, রানি শিরোমণিকে নিয়ে একাধিক প্রবন্ধ ও বই লিখেছেন। একই দাবিতে সামিল রানি শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ। রানিকে নিয়ে একটি প্রামাণ্য বই লিখেছেন প্রাবন্ধিক অচিন্ত মারিক। মেদিনীপুর ও খড়্গপুরের তথ্যচিত্র নির্মাতাদের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছিল রানি শিরোমণি (Rani Shiromani) ও কর্ণগড়ের (Karnagarh) ওপর তথ্যচিত্র। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঋষি অরবিন্দ শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ে ন্যাক পরিদর্শনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল রানি শিরোমণি নাটক। কর্ণগড় মন্দিরের সামনে ইতিহাস সম্পর্কিত তথ্য সমৃদ্ধ ফলক বসানো হয়েছিল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। পাঠ্যপুস্তকে রানি শিরোমণি অধ্যায় হিসেবে স্থান পেলে তবেই রানিকে প্রকৃত সম্মান জানানো হবে বলে মনে করেন তীর্থঙ্কর। পাঠ্যপুস্তকে রানি শিরোমণি ও কর্ণগড় স্থান পাক, এই দাবি জানিয়ে মেদিনীপুর থেকে হয়েছে গণচিঠি পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রথম চিঠি দেন তীর্থঙ্কর। এরপর চিঠি দেওয়া হয় অদ্বিতীয়া নামক সমাজসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে। চিঠি পাঠানো হয়েছিল শহরের সমস্ত মহল থেকে। রানি শিরোমণি ও কর্ণগড় নিয়ে মূল্যবান লেখা রয়েছে ঐতিহাসিক ও প্রাক্তন অধ্যাপিকা অন্নপূর্ণা চট্টোপাধ্যায়ের। পাঠ্যপুস্তকে এই বিষয় স্থান পাক চান অধ্যাপিকা সুতনুকা চ্যাটার্জি পাল। একই দাবি রয়েছে শিক্ষক অরুণাংশু দের। এখন দেখার এবার সিলেবাসে রানি শিরোমণি ও কর্ণগড় কবে স্থান পায়। উল্লেখ্য, রাজ্যের স্কুল শিক্ষায় নয়া বিশেষজ্ঞ কমিটি সিলেবাস সংক্রান্ত কাজ করবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরে রাজনৈতিক ঐক্য দেখা গিয়েছে রানি শিরোমণি প্রসঙ্গে দাবি ও আবেদনে। যে কয়েকটা কম বিষয় নিয়ে রাজনীতি হয় না, তার মধ্যে অন্যতম এই বিষয়। কারণ রানি যে ব্রিটিশ ভারতের প্রথম রাজনৈতিক বন্দিনী। তাঁকে নিয়ে রাজনীতি করতে নারাজ সমস্ত রাজনৈতিক দল। তিনি যে জেলা- রাজ্য তথা দেশের আবেগ।
উল্লেখ্য, পরের সপ্তাহেই কর্ণগড় খাতায় কলমে পেতে পারে হেরিটেজ ও প্রত্নতাত্বিক মর্যাদা। তখন এই বিষয়টিও ওঠে কি না, তা দেখার। অপেক্ষায় আবেদন- আন্দোলনকারী থেকে আমজনতা।