এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দ্রুত বদলাচ্ছে পাঁচামি, পিছু হঠছে বিরোধিতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বাংলার অগ্নিকন্যা ও মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কথা দিলে সেই কথা রাখেন। তাঁর জন্যই এবার বদলে যাচ্ছে পাঁচামি(Pnachami)। বীরভূম(Birbhum) জেলার সিউড়ি(Suri) সদর মহকুমার মহম্মদবাজার(Muhammad Bazaar) ব্লকের এই এলাকায় শুধু যে কয়লাখনির শিল্প গড়ে উঠছে তাই নয়, মমতার প্রতিশ্রুতির জেরে বদলে যাচ্ছে এই শিল্পপ্রকল্পে জমিদাতাদের জীবনযাপনও। আর এই বদল ধাক্কা দিয়েছে সেই সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও মানুষদের যারা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করতে উঠে পড়ে লেগেছিল। সব বিরোধিতাকেই চুপ করিয়ে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি। ডেউচা(Deucha) ও পাঁচামিতে কয়লাখনি প্রকল্পের প্রথম ধাপের বোরিংয়ের কাজ প্রায় শেষের মুখে। এরইমধ্যে শনিবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের বোরিংয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার থেকেও বেশি এখন এলেকায় নজর কাড়ছে এই শিল্পপ্রকল্পের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে জমি প্রদানের আগ্রহ। কেননা তাঁরা এখন নিজের চোখে দেখছেন জমিদাতাদের বদলে যাওয়া জীবনযাপন, যার নেপথ্যে রয়েছে মমতার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাজ্যের বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন ঢেউচা ও পাঁচামি এলাকায় জমিদাতাদের পরিবারের একজনকে দেওয়া হবে সরকারি চাকরি। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে জমির যথাযথ দাম ও পুনর্বাসন প্রকল্প। সেই ঘোষণাকে মিথ্যা বলে বাম, বিজেপি ও কংগ্রেসের পাশাপাশি কিছু মাও ঘনিষ্ঠ ও নকশালবাদী সংগঠন এলাকার বাসিন্দাদের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিল। অস্বীকার করার উপায় নেই যে সেই মিথ্যা প্রচারের আদিবাসী সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মানুষ ভুল বুঝেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটতেই এখন ক্রমশ সেখানে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। যারা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে স্থানীয় বাসিন্দাদের খেপিয়ে তুলতে চেয়েছিল তাঁদেরকেই এখন বয়কট করছেন এলাকার বাসিন্দারা। আর এই পরিস্থিতি ঘটেছে চলতি মাসেই। কেননা প্রথম পর্যায়ে যারা এই শিল্পপ্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের হাতে জমি তুলে দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৫০টি পরিবারের একজন করে সদস্যকে রাজ্য সরকার রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পদে নিয়োগপত্র দিয়েছে। সেই ৫০জন যুবক-যুবতী এখন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরে পুলিশ ক্যাম্পে ট্রেনিং নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে গত মাসের ২৮ তারিখেই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতনের টাকাও ঢুকে গিয়েছে। কেউ পেয়েছেন ২৫ হাজার টাকা মাইনে, কেউ বা পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা মাইনে।

ঢেউচা ও পাঁচামিতে যারা জমি দিতে চাইছিলেন না তাঁরা এখন এই ৫০টি পরিবারের বদলে যাওয়া জীবনযাপন নিজেদের চোখেই দেখতে পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে আরও ৩০০টি পরিবার যারা দ্বিতীয় পর্যায়ে জমি দিয়েছেন তাঁদের বাড়ির ছেলেমেয়েদেরও পুলিশের চাকরির জন্য ট্রেনিং নেওয়ার তোড়জোর করতে দেখছেন। পুজোর আগেপরে করেই তাঁদের ট্রেনিং শুরু হয়ে যাবে ব্যারাকপুরে। তাই আর কেউ এই প্রকল্পের বিরোধিতা তো করছেনই না উল্টে এখনও অনেকেই স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তাঁদের জমি এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিতে। এই অবস্থায়, শনিবার এই প্রকল্পের অধীনেই মহম্মদবাজার ব্লকের পুরাতনগ্রাম পঞ্চায়েতের সেকেড্ডা গ্রামে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দু’টি পয়েন্টে দ্বিতীয় পর্যায়ের বোরিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ের ৩টি পয়েন্টে বোরিংয়ের কাজ শেষের পথে। এবার দ্বিতীয় পর্যাআয়ের ৩০টি পয়েন্টে বোরিংয়ের কাজ শুরু হয়ে গেল। আর এই কাজ যে এলাকার মানুষের জীবনযাপন বদলে দেবে সেটা বুঝেই এলাকাবাসীর মধ্যে এখন দেখা যাচ্ছে এই শিল্পপ্রকল্পকে ঘিরে স্বপ্ন উড়ানের হাসি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

প্রচন্ড গরমের মধ্যে লাগাতার ১৫ দিন ধরে লোডশেডিং,প্রতিবাদে অবরোধ

চন্দননগরে প্রচারে গিয়েও প্রসিদ্ধ ‘জলভরা সন্দেশ’ চাখা হল না রচনার, কেন?

ইভিএম বিভ্রাট নিয়ে কমিশনকে চিঠি দিল তৃণমূল

সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

‘সবচেয়ে বড় ভুলটা আমি করেছিলাম, তবে বিজেপি এবার আর ক্ষমতায় আসবে না’

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর