এই মুহূর্তে

ডিসেম্বর নয়, বাংলার সরকার পড়তে বাকি আরও ৬ মাস

নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজোর আগে বেশ বড় মুখ করে সাংবাদিকদের সামনে মিঠুন চক্রবর্তী(Mithun Chakrabarty) ও বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) দাবি করেছিলেন সামনের ডিসেম্বর মাসেই নাকি বাংলায় ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের পতন ঘটে যাবে। মিঠুন দাবি করেছিলেন তাঁর সঙ্গে নাকি তৃণমূলের ২১জন বিধায়ক যোগাযোগ রেখে চলেছেন। বিজেপি ইশারা করলেই তাঁরা নাকি মমতার সরকার ফেলে দেবেন। মিঠুনের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে আরও এককদম এগিয়ে সুকান্ত দাবি করেন তাঁর সঙ্গে নাকি ৩৮জন বিধায়ক যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এরা নাকি মমতার সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিতে চান। এই সব দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আগেই উঠে গিয়েছিল। এবার সেই সব দাবিকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। শনিবার সকালে দিলীপ জানিয়েছেন, ৬ মাসের মধ্যে নাকি মমতার সরকার পড়ে যাবে। আর এখানেই প্রশ্ন, আরও ৬ মাস কেন? ডিসেম্বরের সরকার পতনের দাবি কী সুপারডুপার ফ্লপ হয়ে গেল? মিথ্যার বেলুন কী ফেটে গেল?

শুক্রবার হুগলির(Hooghly) আরামবাগ মহকুমার খানাকুলে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আছে বলেই ওনারা এখানে যখন-তখন যেখানে-সেখানে যাওয়া, আসা করতে পারছেন, যা খুশি বলতে পারছেন। কিন্তু আমরা যখন অন্য রাজ্যে যাই সেখানে আমরা বাধা বা আটক হই। বাংলাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী আছেন, থাকবেনও। এরপরে দিল্লি যাবেন। দিলীপবাবুরা আগে দিল্লি সামলাক।’ শনিবার সকালে হুগলি জেলার আরামবাগে এক চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন প্রাত্যভ্রমণে বার হওয়া দিলীপ। সেখানেই তিনি চন্দ্রমা ভট্টাচার্যের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘গণতন্ত্র ওদের দয়ায় নাকি! গণতন্ত্র আছে কেন্দ্রের জন্য। তাই করে খাচ্ছে সরকার। না হলে যে কোনও দিন ভেঙে দিত সরকার। সরকার আর বেশিদিন নয়, মাস ছয়েকের মধ্যে পড়ে যাবে। সবার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। গালাগালি থেকে গুলোগুলি। আমরা বিজয়া সম্মিলনী করছি। মিষ্টি খাওয়াচ্ছি। তৃণমূল গালাগালি মারামারি করছে।’ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আরও ৬ মাস কেন বাড়তি সময় দেওয়া হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে? কেন টান মেরে এখনই এই সরকার ফেলে নিজেদের হিম্মত দেখাতে পারছে না বিজেপি? নাকি মিথ্যার বেলুন চুপসে গিয়েছে বলে এখন খালি বাজারগরম করে চলেছেন বিজেপির নেতারা?

এরই মাঝে আবার দিলীপকে নিয়ে নযয়া বিপত্তি হাজির হয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সৌমেন তেওয়ারি এবং জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর হালদার দিলীপের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, ‘কয়েকদিন আগেও নাকি নেংটি পরে ঘুরতেন! এখন তাঁরই পায়ে স্পোর্টস শু! বিধানসভা ভোটের আগে পরে নিজের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। কোনও রসিদের বালাই ছিল না।’ তাঁদের ফোনালাপের অডিও রেকর্ডিং এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেই দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে দু’জনকেই। শুক্রবার ওই অডিও ক্লিপের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন সৌমেনবাবু। তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে গত বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সভাপতি ছিলেন সৌমেনবাবু। ভাইরাল হওয়া ওই অডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘দিলীপবাবুকে স্বভাব-চরিত্র, আচার-ব্যবহার বদলাতে বলুন। কয়েকদিন আগে উনি নেংটি পরে ঘুরতেন। এখন তো স্পোর্টস শু পরে ঘুরছেন। শু কী জিনিস উনি জানতেন? নিজেকে বিশাল বড় ডন ভাবছেন নাকি?’ উল্টোদিক থেকে গৌরীশঙ্করবাবুও বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে মানুষের ধারণা কিন্তু পরপর বদলাচ্ছে।’ তাঁকে মাঝপথে থামিয়ে সৌমেনবাবু বলে ওঠেন, ‘দিলীপ কেন, সব ঘোষকে আমি দেখে ছাড়ব। কিন্তু এসব দায়িত্বে থেকে করা যাবে না। বিজেপির একজন সাধারণ ভোটার হিসেবে সরাসরি দিলীপ ঘোষকে চ্যালেঞ্জ করব। উনি একজন কালপ্রিট। বিনা রসিদে দু’লক্ষ, তিন লক্ষ টাকা তুলে নিয়ে গিয়েছেন। আমরা তার ডকুমেন্টসও পাঠিয়েছি।’

ওই অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে সাংবাদিকেরা এদিন দিলীপবাবুকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ‘যে বলছে, সে এসব কোথা থেকে জানল? কে টাকা দিয়েছে, কোথা থেকে টাকা দিয়েছে—সেসবের প্রমাণ দিক। আমি চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে এসবের উত্তর দিতে রাজি আছি।’ দিলীপ ঘোষের সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূলও। জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘উনি তৃণমূলের সবাইকেই চোর বলছেন, ইডির ভয় দেখাচ্ছেন। অথচ বিজেপির নেতারাই ওঁর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করছেন।  দিলীপবাবুর লজ্জা হওয়া উচিত।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর