নিজস্ব প্রতিনিধি: সময় যত গড়াচ্ছে বঙ্গ বিজেপির কোন্দল ততই বেআব্রু হচ্ছে। রবিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে বৈঠক করেন বঙ্গ বিজেপির ৪ বিক্ষুব্ধ নেতা। এরা হলেন সায়ন্তন বসু, রীতেশ তেওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদার ও সমীরণ সাহা। সেই বৈঠকের পরেই সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন শান্তনু। ঠিক তার আগে এদিন ইকোপার্কে মর্নিংওয়াকে এসে শান্তনুকে কার্যত তোপ দাগলেন দিলীপ। সাফ জানিয়ে দিলেন, শান্তনু যা করছেন তা মিডিয়ার নজর টানার জন্য করছেন। দলে ব্যক্তিস্বার্থের কোনও জায়গা নেই। তাই ওনার উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।
এদিন দিলীপবাবু শান্তনুকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আমারও মাঝেমধ্যে মনে হয় গ্রুপ লেফট করি। তাহলে কী হবে? তাহলে কেবল খবর হবে। সংবাদমাধ্যমের নজরে আসব। এর চেয়ে বেশি কিছু হবে না। কারণ, গ্রুপ লেফট করে সমস্যা সমাধান বা পদপ্রাপ্তি কোনওটাই হয় না। উল্টে অসম্মানিত হতে হয়। দলের অন্দরে কোনও সমস্যা তৈরি হলে সেটা ভেতরেই মিটিয়ে নেওয়া ভাল। সেই সুযোগও রয়েছে। কে কার বাড়িতে বৈঠক করবে তা নিয়ে কী বলার আছে! শান্তনু এখন খবরের নজরে আসছেন। তাই তাঁর বাড়িতে বৈঠক হলেই খবর হচ্ছে। তিনি তো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে যে কেউ দেখা করতে পারে। সৌজন্যের রাজনীতিতে তো কোনও খারাপ কিছু নেই। এ কথা তো আমি আগেও বলেছি। গ্রুপ নিয়ে বিজেপিতে রাজনীতি হয় না। পদপ্রাপ্তি নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হতে পারে। তবে দলের সমস্যা দলের অন্দরেই মেটানো হবে। আমাদের দল একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। কেবলমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থ দেখে দল কাজ করে না।’
এদিকে শান্তনু ঘনিষ্ঠদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য বিজেপিতে মতুয়া সম্প্রদায়কে বঞ্চনা করার বিষয়টি সর্বভারতীয় নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরতে এদিন দিল্লি যাচ্ছেন শান্তনু। দলের রাজ্য কমিটিতে যথাযথ মতুয়া প্রতিনিধিত্ব ও বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি পরিবর্তনের দাবির পাশাপাশি অমিত মালব্য এবং অমিতাভ চক্রবর্তীকে হঠানোর দাবিও জানাবেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাচক্রে বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া প্রবীণ নেতা রাজকমল পাঠকও জানিয়েছেন, মতুয়াদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে শান্তনু ঠাকুর যে লড়াই চালাচ্ছেন, তার সঙ্গে তিনি একমত।