নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় ভোট। রাজ্যজুড়েই চলছে পুরভোটে মনোনয়নের পালা। এর মাঝেই একের পর এক পুরসভা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত বুধবার বজবজ ও সাঁইথিয়া পুরসভা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয় পায় ঘাসফুল শিবির। এবার হ্যাটট্রিক করে আরও এক পুরসভায় জয় পেল রাজ্যের শাসকদল। যার ফলে আগামী ২৭ তারিখের আগেই বিরোধীদের হাড়কাঁপুনি ধরিয়ে বড় জয় নিজেদের ঘরে তুলে নিল ঘাসফুল শিবির।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় রয়েছে নির্বাচন। সেদিনই কোচবিহারের দিনহাটায় ভোটগ্রহণ করা হবে। বুধবার ছিল ওই সব পুরসভায় মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। আর তখনই দেখা যায় কোচবিহার জেলার অন্যতম মহকুমা শহর দিনহাটায় ৭টি ওয়ার্ডে তৃণমূল ভিন্ন আর কেউ প্রার্থী দেয়নি। তাই ওই ৭টি ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থীদেরই জয়ী বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলাতে জানা যায় আরও তিন আসনে বিরোধীরা প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেয়। এর ফলে ১৬টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট দিনহাটা পুরসভায় বোর্ড গঠনের জন্য ৯জন কাউন্সিলরের সমর্থমের প্রয়োজন। এদিন ১০ জন তৃণমূল প্রার্থী বিনা যুদ্ধে জয়ী হওয়ায় দিনহাটা পুরসভার দখল নিল তৃণমূল। ওই পুরসভায় বোর্ড গড়বে রাজ্যের শাসকদলই।
এই ঘটনার জেরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরে। মূল ক্ষোভ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে। দিনহাটা শহরেই নিশীথের বাড়ি। সেই শহরেই কিনা ১০টি ওয়ার্ডে প্রার্থীই দিতে পারল না বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নীচুতলার কর্মীদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নিশীথ দিনহাটা আসাই ছেড়ে দিয়েছেন। এলেও দলের নেতাকর্মী থেকে সমর্থক কাউকেই সময় দেন না। দলের কোনও কর্মসূচীতে তাঁকে পাওয়া যায় না। পুরনির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি একদিনের জন্যও আসেননি। দল তাঁকে ভোটে জিতিয়ে সাংসদ করেছে, কেন্দ্রে মন্ত্রীও করেছে। কিন্তু দলকে প্রতিদানে তিনি উপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই দিচ্ছেন না।