নিজস্ব প্রতিনিধি: মাঝরাত থেকেই শহর কলকাতায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সকালে সূর্য দেখার আগেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে, সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। তবে এটা তেমন কিছুই নয়, আরও বড় দুর্যাোগ ধেয়ে আসছে বঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে। মাঝে মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির দাপট বাড়বে সোম ও মঙ্গলবার।
এই মুহূর্তে নিম্নচাপটি মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে। সেটি ক্রমশ অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবেই প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে দক্ষিণবঙ্গে। রবিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি। সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। আগামী ১৭ অক্টোবর ও ১৮ অক্টোবর কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎও লক্ষ্য করা যাবে। ৫০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে নদিয়া, হুগলি, হাওড়ায়।
পুজোর আগে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জেরে জলে ভেসে গিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গ। পুজোর দিনগুলিতে কিছুটা রেহাই দিলেও পুজো মিটতেই ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। টানা বৃষ্টিতে ফের দুর্যোগ, দুর্ভোগের আশঙ্কা। লক্ষ্মীপুজোর আগে ভারী বৃষ্টিতে সব্জি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় কলকাতা পুরসভা ও সমস্ত জেলাশাসকদের চিঠি দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী৷ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে৷
ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকাতে ভারী বৃষ্টির ফলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরে কমলা অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে৷ কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস৷ সোমবার হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগণায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে৷ মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি,আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং-সহ বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে৷ জল জমলে যাতে সাধারণ মানুষ সমস্যার সম্মুখীন না হয় তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর৷
বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রায় তেমন কোনও ফারাক লক্ষ্য করা যাবে না বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে থাকবে। তবে এই নিম্নচাপ কাটলেই আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বঙ্গে শীত প্রবেশ করতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।