নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব বর্ধমানঃ ১৪ নভেম্বর শিশু দিবসের দিনই ১০ জন চিকিৎসকেদের চেষ্টায় বাঁচল নবজাতকের প্রাণ। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে। এই অস্ত্রোপচারের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম বলেও দাবি বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালের। জানা গিয়েছে , পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের পম্পা পরামানিক নামের এক মহিলার বাচ্চা না আসার কারণে আইভিএফ পদ্ধতি অবলম্বন করেন । কিন্তু প্রথম আইভিএফ ফেল হয়।
চলতি বছরের জুলাই মাসে পুনরায় আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। সেই সময় তিনি জানতে পারেন তাঁর যমজ সন্তান হবে। কিন্তু অন্তঃস্বত্তার ১৭ সপ্তাহে জুলাই মাসের ১১ তারিখ রক্তক্ষরণ নিয়ে তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। তবে তাঁর ১ টি সন্তান জরায়ুর মধ্যে মারা যায়। একটি সন্তান মারা গেলেও অপর একটি সন্তান বেঁচে যায় । এরপর পরস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়।
পেটে দ্বিতীয় সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়েন চিকিৎসকরা। সেই বাচ্চাটিকে বাঁচাতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসকরা। অবশেষে মঙ্গলবার তিনি যমজ বাচ্চার দ্বিতীয়টির জন্ম দেন। বাচ্ছাটির ওজন ২ কেজি ৯০৬ গ্রাম। বর্তমানে মা এবং সন্তান ২ জনেই সুস্থ আছে। ফের আরও একবার বিরলতম অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করিয়ে তাক লাগিয়ে দিল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।