নিজস্ব প্রতিনিধি: গতকাল সোচ্চার হয়েছিলেন। সঙ্গে দিয়েছিলেন আশ্বাস পাশে থাকার। এদিন নিজে চিঠি পাঠিয়ে ফের সেই পাশে থাকার আশ্বাসকেই পৌঁছে দিলেন রাজ্যের নমঃশূদ্র সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ নমঃশূদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ডকে(West Bengal Namashudra Welfare Board)। নজরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আধার কার্ড বাতিলের(Aadhar Card De-Activation) ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের যে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সব থেকে বেশি উদ্বেগ ছড়িয়েছে তাঁদের অন্যতম হল নমঃশূদ্ররা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অনেক মানুষের কাছে আধার কার্ড বাতিলের প্রসঙ্গে চিঠি পৌঁছেছে। গত কয়েক দিন ধরেই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল অর্থাৎ সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে আধার কার্ড বাতিলের প্রসঙ্গে বিজেপি ও কেন্দ্র সরকারকে তুলোধনা করেন মমতা। এদিন সরাসরি চিঠি দিয়ে রাজ্যের বাসিন্দা নমঃশূদ্রদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ নমঃশূদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ডকে যে চিঠি দিয়েছেন তাতে তিনি জানিয়েছেন, আধার কার্ড বাতিল সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তাই নমঃশূদ্র সংগঠনের মাধ্যমে তিনি সেই সব ব্যক্তিকে জানাতে চান যাঁরা আধার কার্ড বাতিলের কেন্দ্রীয় সরকারি বার্তা পেয়েছেন, তাঁরা যেন কোনও ভাবে বিষয়টি নিয়ে ভয় না পান বা চিন্তা না করেন। রাজ্য সরকার সেই সব মানুষের পাশে রয়েছে। যাদের আধার কার্ড বাতিল হয়েছে, তাঁরা যে সব সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতেন, সে রকমই পাবেন। তা বন্ধ করতে দেওয়া হবে না। আধার কার্ড সমস্যা সংক্রান্ত একটি পোর্টাল চালু করা হচ্ছে। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই পোর্টাল চালু হয়ে যাবে। যারা আধার কার্ড বাতিলের চিঠি পেয়েছেন, তাঁরা এই পোর্টালে সেই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে পারবেন।
তৃণমূলের(TMC) তরফে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, মতুয়াদের(Matua) নাগরিকত্ব কেড়ে নিতেই তাঁদের আধার নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে। আবার এটাও ঘটনা রাজ্যে যে সব নমঃশূদ্র বসবাস করেন তাঁদের বেশিরভাগই মতুয়া। আধার কার্ড বাতিলের ঘটনার প্রসঙ্গে গতকাল বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছিলেন সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই এই সমস্যা হয়েছে। আবার বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে যে সব আধার নিস্ক্রিয় হয়েছে সেগুলি ফের সচল হয়ে যাবে। যদিও সেই নিস্ক্রিয় আধারের সচল হওয়ার কোনও খবরই এদিন সামনে উঠে আসেনি। আবার নতুন করে এদিনও অনেক মানুষের কাছে আধার বাতিলের চিঠি এসে হাজির হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।