নিজস্ব প্রতিনিধি,দত্তপুকুর: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন ক্লাসরুমে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়াতে দারোয়ানকেই পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ স্কুলেরই ছাত্রদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের দত্তপুকুর থানার(Duttapukur P.S.) ছোটজাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বরা গ্রামের ১৭৫ বছরের প্রাচীন ছোট জাগুলিয়া হাই স্কুলে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দা ও মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
দোষী ছাত্রদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব অস্থায়ী কর্মী শিবু শিলের মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সকলেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দত্তপুকুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্কুলের অস্থায়ী প্রধান শিক্ষক মানবেন্দ্র মন্ডল জানান, পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার রুম (Examination Hall)থেকে স্কুলের শিক্ষকরা প্রায় ১৫ টি মোবাইল এদিন উদ্ধার করে এবং বাজেয়াপ্ত করে। অভিভাবকদের মাধ্যমে সেই মোবাইল ফোন ফেরত নেওয়ার কথাও জানানো হয় ছাত্রছাত্রীদের। বারবার নোটিশ দেওয়া সত্বেও পরীক্ষার হলে কি করে ছাত্রছাত্রীরা অবৈধভাবে মোবাইল ফোন(Mobile Phone) ব্যবহার করে, সেটা নিয়েই বিতশ্রদ্ধ ছিলেন ছোট জাগুলিয়া স্কুলের শিক্ষকরা।
বিকেল তিনটের সময় পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর বেশ কিছু ছাত্র তাদের মোবাইল ফোন ফেরত পেতে ওই কর্মীর ওপর চড়াও হয়। প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতেই ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক মানবেন্দ্র মণ্ডল, ছোট জাগুলিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নুর আলী, বারাসাত এক নম্বর ব্লকের সভাপতি হালিমা বিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে মৃতদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে বারাসাত হাসপাতালের পুলিশ মর্গে ময়না তদন্তে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত করতে স্কুলের সিসিটিভি(CCTV) ফুটেজ খতিয়ে দেখছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু হয়েছে ছাত্রদের।