নিজস্ব প্রতিনিধি: দুটি ঘটনাই পুলিশকে(Police) ঘিরে। একটির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন(ECI) পদক্ষেপ করলো পুলিশের বিরুদ্ধে। অপরটির ক্ষেত্রে পুলিশের প্যান্ট খুলে নেওয়া হুমকি দেওয়ার পরেও কোনও পদক্ষেপই করছে না ‘বিজেপি বান্ধব’ কমিশন। আগামী ১৩ মে দেশে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ করা হবে। সেদিন বাংলার ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ওই ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে আছে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রও। কিন্তু সেই দিনের আগেই এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারত বহরমপুর থানার(Baharampur Police Station) আইসিকে(IC) সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর এই আইসির বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানিয়েছিল কংগ্রেস(INC)। সেই অভিযোগের জেরেই নাকি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ভুললে চলবে না এই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন ‘বিজেপি বান্ধব’ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অন্যদিকে এদিন বর্ধমান শহরে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh) বর্ধমান টাউন থানার(Burdwan Town PS) আইসি-কে উদ্দেশ্য করে তাঁর প্যান্ট খুলে নেওয়ার হুমকি দিলেও এখনও কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি।
বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর মোড় থেকে বটতলা প্রাতঃভ্রমণে যান তিনি। জনসংযোগ করেন এবং জবাব দেন নানা প্রশ্নের। তারপরই বর্ধমান থানার আইসিকে উদ্দেশ্য করে বেলাগাম মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। এদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দিলীপকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আইসি কত বড় চামচা হয়েছে আমি ওকে দেখছি। কি করে সারাজীবন চাকরি করে। আইসিকে রাস্তার আটকাবো। লোক দিয়ে ওর গাড়ি আটকাবো। ওকে বের করে ওর কাপড় খুলবো। দিলীপ ঘোষকে ও চেনে না এখনও। বাপের জন্মে দেখেনি তো। ভেবেছে বালি চোর, গরু চোরগুলির মতো নেতা। রোজ থানা, বিডিও, ডিএম অফিস ঘেরাও করব। আর কিছু করব না। শেষের দিকে ওর দম বন্ধ করে দেব। কেমন করে চামচাগিরি করে দেখব। রাস্তায় যেন না বেরোয় আইসি। রাস্তায় বেরলে দাঁড় করিয়ে আইসির প্যান্ট খুলে নেব। পারলে আমার বিরুদ্ধে গিয়ে কমপ্লেন করুক ইলেকশন কমিশনের কাছে। তারপরে আইসি ভাবছে দিলীপ ঘোষ চলে যাবে। দিলীপ ঘোষ ৫ বছর থাকবে। রাস্তায় জুতোপেটা করব। আর করেছি, মুখে বলি না। ওরা ভেবেছে আমি ভদ্র আছি বলে ওরা যা ইচ্ছা করে নেবে।’ দিলীপের এই কটুক্তির পরে ‘বিজেপি বান্ধব’ নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার।