নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার সকালেই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েছিল ইডি’র (ED) ৬ টি গাড়ি। এরপর শান্তিনিকেতনের ‘অপা’ বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। জানা গিয়েছে, তল্লাশি চালানো হবে ‘লাবণ্য’ বাড়িতেও। অন্যদিকে, গত মঙ্গলবার জোকা ইএসআই হাসপাতাল চত্বরে ‘জুতো কাহিনী’র পর বাড়ানো হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (PARTHA CHATTERJEE) নিরাপত্তা।
জানা গিয়েছে, ‘অপা’ বাড়ির মিউটেশন রয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (ARPITA MUKHERJEE) নামে। এই বাড়িতেই তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। অন্যদিকে, ১০ দিন হেফাজত শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ইডি নিয়ে যাচ্ছে আদালতে। খবর লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, পার্থ ও অর্পিতাকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিয়ে বেরিয়েছে ইডি কনভয়। এই মুহূর্তে গাড়ি রাস্তায়। তবে তাঁদের আদালতে পেশ করার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হবে ইএসআই আদালতে।
গতকাল প্রাক্তনমন্ত্রীকে জুতো ছুঁড়ে মেরেছিলেন শুভ্রা ঘড়ুই নামে এক মহিলা। যদিও গাড়িতে লেগে পড়ে গিয়েছিল জুতো। লাগেনি মন্ত্রীর গায়ে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৭৬ জন জওয়ান। তবুও এই ঘটনায় ‘বিপ্লবী তত্ব’ উঠলেও আঙুল উঠেছিল ইডির দিকে। সেই ঘটনার জেরে আরও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। নিরাপত্তায় বেড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আরও জওয়ান। রয়েছে কলকাতা পুলিশ।
অন্যদিকে, ৬ টি দলে ভাগ হয়ে সিবিআই তল্লাশি চালাচ্ছে বীরভূমে। অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ এক নেতার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। ওই নেতার নাম কেরিম খান। তিনি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। তাঁর নাম রয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে গরু পাচারেরও।
অন্যদিকে, পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই ও ইডি। জানা গিয়েছে, তাঁর ৩ টি বাড়িতে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। এই ব্যবসায়ীও অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতেই শান্তিনিকেতনে গিয়েছিল ইডির একটি দল।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বীরভূম জেলাতেই হানা দিয়েছে ইডি ও সিবিআই- ২ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ১০ টি গাড়ি। খবর লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, কেরিম খান ও টুলু মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।