নিজস্ব প্রতিনিধি: আবাস যোজনা (ABAS YOJANA) দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। রাজ্য জুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টাও করেছিল। তারপরে বিজেপি (BJP) সাংসদ-বিধায়কদের দিতে দেখা গিয়েছে একাধিক নিদান। নিশানায় পুলিশ থেকে বিডিও। তালা বন্ধ করে রাখা, গাছে বাঁধা, মারার নিদানও দেওয়া হয়েছে। এমনকি আঙুল উঁচিয়ে হুমকি দিতেও দেখা গিয়েছে। তবে অলক্ষ্যে রয়ে গিয়েছেন বিজেপি’র বেশ কিছু নেতানেত্রী। তাঁরা ‘বড়লোক’। গরিবদের জন্য বরাদ্দ ‘আবাস যোজনা’র সুবিধা নিচ্ছেন তাঁরাও।
‘আবাস যোজনা’র সুবিধা তালিকায় থাকা ৬ বিজেপি নেতানেত্রীর নাম প্রকাশিত হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে দেখা গিয়েছে, গেরুয়া শিবিরের সুবিধা ভোগী নেতানেত্রী ছড়িয়ে আছে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে। এমনকি তালিকায় নাম আছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী’র বাবারও।
বাঁকুড়া জেলার সোনামুখি বিধানসভার বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। বেনিফিসিয়ারি তালিকায় রয়েছে তাঁর স্ত্রী প্রতিমা ঘরামি’র নাম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি কোচবিহারের সাংসদ। তাঁর বাবা বিধু ভূষণ প্রামাণিকের নাম রয়েছে সুবিধাভোগী তালিকায়।
নাম রয়েছে ঝাড়গ্রামের বিজেপি জেলা সভাপতি তুফান মাহাতোর। শুধু তাই নয়, তালিকায় রয়েছে তাঁর ভাইয়ের নামও।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আশোকনগর বিধানসভার হাবড়া-২ ব্লকের গুমা-১ ব্লকের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা লক্ষ্মী মজুমদার। রয়েছে তাঁর নামও।
বাঁকুড়া বিধানসভার বাঁকুড়া-১ ব্লকের জগদ্দল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান নারায়ণ শিট। তাঁর বাবা ভাস্কর চন্দ্র শিট। তাঁরও নাম রয়েছে সুবিধাভোগীর তালিকায়।
পুরুলিয়া জেলার পারা বিধানসভার রঘুনাথপুর-২ ব্লকের বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি রবীন ঘোষ গোপ। তাঁর স্ত্রী লেহালি গোপ। এই বিজেপি নেতার স্ত্রীর নামেও বরাদ্দ ‘আবাস যোজনা’ প্রকল্পের সুবিধা।
এই সমস্ত নাম প্রকাশ্যে আসার পরেই সরব হয়েছে তৃণমূল। সবুজ শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিজেপি করে না। বিজেপি প্রতিবাদীর ছদ্মবেশে দুর্নীতি করে’। এদিকে এত নাম প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি।