নিজস্ব প্রতিনিধি, ময়নাগুড়ি: ঘড়িতে তখন বিকেল চারটে থেকে সাড়ে চারটে। স্লিপার কোচে শুয়েছিলেন অভিশপ্ত ট্রেনের আসাফ আলি। হঠাৎ ঝাঁকানি। সেকেন্ডের মধ্যে একটা কামরার ওপরে একটা কামরা উঠে পড়ে। দুর্ঘটনার অভিঘাত কতটা ছিল সেটা বোঝাই যাচ্ছে। আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে গিয়েছেন আসাফ আলি।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে রীতিমতো কাঁপছিলেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের তিনি বলেন, ‘লোয়ারবার্থে শুয়েছিলাম। প্রবল ঝাঁকুনিতে বুক কেঁপে ওঠে। প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। এটাই যথেষ্ট।“ একই অভিজ্ঞতা অভিশপ্ত ট্রেনের আরও এক যাত্রীর। দুর্ঘটনার আতঙ্ক তাদের তাঁড়া করে বেড়াচ্ছে। অনেকেই পরিবারকে নিয়ে ট্রেন যাচ্ছিলেন। এক দুর্ঘটনায় তারা পরিবারবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
কামরায় আটকে পড়া যাত্রীদের যু্দ্ধকালীন তৎপরতায় বের করে আনার কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন, তারা বুঝতেই পারেননি ট্রেন এভাবে উল্টে পড়বে। হতাহতদের মধ্যে কজন মহিলা বা শিশু রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার কারণ উদ্ধার করতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেলের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর। এই খবর লেখা পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
হেল্পলাইন নম্বর দুটি হল
০৩৬১২৭৩১৬২২, ০৩৬১২৭৩১৬২৩