নিজস্ব প্রতিনিধি: জমিতে পেঁয়াজ(Onion) চাষ শুরু হতে না হতেই ছত্রাকের হানা। জমিতে পেঁয়াজ চারা যা বেরিয়েছিল তার এক-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পেঁয়াজ চাষের ওপর নির্ভর করে যারা জীবিকা নির্বাহ করেন তাঁরা এখন কি করবেন কোথায় যাবেন কিছুই ভেবে উঠতে পারছেন না। কৃষি ও উদ্যান বিভাগের মতে, ছত্রাকঘটিত চারা ধসা রোগের কারণেই জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে পেঁয়াজের বীজ। জমিতে কপার অক্সি-ক্লোরাইড জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করলে এই ছত্রাকের দমন সম্ভব। ঘটনা পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলার কালনা(Kalna)-১ ব্লকের।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় কালনা-১ ব্লকের নান্দাইয়ে পেঁয়াজ বীজ বিক্রির একটি বিশাল বাজার বসে। সেখানকার চাষিরা(Farmers) জানিয়েছেন, এক বিঘা জমিতে চারা তৈরির জন্য লাগে প্রায় ১ কেজি পেঁয়াজের বীজ। জমিতে বীজ ফেলার পর পাকাটির আস্তরণ বিচিয়ে রাখা হয়। প্রায় ২৫ দিনের মাথায় সেই চারা তুলে মূল জমিতে পোঁতা হয়। প্রতি বছর এভাবেই চলে চাষের প্রক্রিয়া। তারপর পেঁয়াজ হলে সেই পেঁয়াজ তাঁরা বাজারে বিক্রি করেন। কিন্তু এবছর মূল জমিতে পেঁয়াজের চারা বসানোর সময় পাকাটির আস্তরণ সরাতে দেখা যাচ্ছে সব বীজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কীভাবে এত পেঁয়াজের বীজ নষ্ট হল তা কিছুতেই তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করে তাঁদের সংসার চলে। পেঁয়াজের সব বীজ প্রায় নষ্ট। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কীভাবে সংসার চালাবেন তা তাঁরা কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না।
পেঁয়াজ চাষিদের এই করুন পরিস্থিতিতে আশার আলোর দেখাচ্ছেন কৃষি ও উদ্যান বিভাগের আধিকারিকেরা। পেঁয়াজ বীজ নষ্টের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কৃষি দফতর জানিয়েছে, মাঝেমধ্যে বৃষ্টির কারণে মাটির তলায় জল জমছে। মাটিতে দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে, গুমোট আবহাওয়ায় মাটিবাহিত ছত্রাকঘটিত চারা ধসা রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তার জেরেই ক্ষতি হচ্ছে পেঁয়াজ বীজের। তারা আরও জানিয়েছেন ,জমিতে যদি কপার অক্সি-ক্লোরাইড জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করা হয় তাহলে এই ছত্রাকের দমন সম্ভব। এখন দেখার বিষয় এটিই যে এখন এই পেঁয়াজ চাষীরা বাংলা শস্য বিমার আওতায় ক্ষতিপূরণ পান কিনা।