নিজস্ব প্রতিনিধি : জিয়াগঞ্জে গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় রহস্যভেদ করে ফেলল পুলিশ। কীভাবে জানেন। একরত্তি শিশুর বয়ানই যাবতীয় রহস্যভেদ করে দিল। শিশুটির বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই তদন্তকারীরা জানতে পারে, মায়ের মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছিলেন বাবা। সেই থেকেই মৃত্যু হয় গৃহবধূর।
পুলিশ সূত্রে খবর, চার বছর আগে সাগরদিঘির দস্তুরহাট গ্রামে রুকসানা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় নেশকাতুন ইসলাম নামে এক যুবকের। রুকসানা তখন জিয়াগঞ্জের শ্রীপত সিংহ কলেজে পড়াশোনা করতেন। রুকসানা শিশুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে নিজের গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। নেশকাতুন সৌদি আরবে কাজ করতেন। কিছুটা সময়ে সৌদি আরবে কাজ করার পর দেশে ফেরেন নেশকাতুন। এরপর স্বামীর সঙ্গে জিয়াগঞ্জে চলে আসেন রুকসানা। গত রবিবার স্বাভাবিক মৃত্যু হয় রুকসানার। তদন্তকারীরা প্রথমে বোঝা করছিলেন, আচমকা কীভাবে রুকসানার মৃত্যু হল। এরপর শিশুকন্যা তদন্তকারীদের জানায়, মাকে মারধর করে তার বাবা গলা টিপে ধরেছিলেন। এরপর কিছু একটা ঢেলে দেওয়া হয়েছিল। তারপরই তদন্তকারীরা জানতে পারে, রুকসানার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকেই মৃত্যু হয়েছে।
গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত নেশকাতুন ও তার পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন রুকসানার পরিবারের সদস্যরা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিয়েতে প্রচুর পণ দেওয়া হয়েছিল। তবু আরও টাকা আদায়ের দাবিতে রুকসানাকে চাপ দেওয়া হত। সম্প্রতি নতুন একটি মোটরবাইক আদায়ের জন্য বায়না করতে শুরু করেন নেশকাতুন। এরপরই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।