নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়া: অভাবের তাড়নায় ঘুরে ঘুরে পাপড় ভাজা বিক্রি করলেও জোটে না কপালে ভাত। তাই চা-বিস্কুট খেয়ে কোনরকম দিন গুজরান ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কখোনো ফুলিয়া বাজার আবার কখনো ফুলিয়া স্টেশন(Fulia Station) কখনো পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘুরে ঘুরে আজও বিক্রি করছেন পাপড় ভাজা।পেটের টানে ওই বৃদ্ধার চোখে মুখে বিষন্নতা। শান্তিপুর বিধানসভার(Shantipur Assembly) অন্তর্গত বেলঘড়িয়া(Belgharia) এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলঘরিয়া(Belgharia) গ্রামের বাসিন্দা সাধন বসাক।
বর্তমানে সাধনবাবুর বয়স ৮০ বছর । সাধনবাবুর স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত। পরিবারে সাধন বাবুর ছেলে থাকলেও দুমুঠো ভাত দেন না মা ও বাবাকে এমনটাই অভিযোগ সাধন বাবুর। স্ত্রী বার্ধক্য ভাতা পেলেও দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াতে হয় আজও। তবুও জোটেনি সাধন বাবুর একমুঠো ভাত। তাই বাধ্য হয়ে এই বয়সেও সংসার চালাতে ঘুরে ঘুরে পাপড় ভাজা বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে । কিন্তু বেচাকেনা করে যেটুকু অর্থ রোজগার হয় তাতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় সাধন বাবুকে। তাই অসুস্থ স্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে বেশিরভাগ দিনই তাকে চা-বিস্কুট খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে । সরকারি সুবিধা বলতে রেশনের চাল পান কিন্তু তাতে ও দুজনের চলে না। আগামী দিন কিভাবে সামলাবেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। ইতোমধ্যে বার্ধক্য ভাতার আবেদন জানিয়েছেন সাধনবাবু ।
এখনও পান নি তার ভাতা । তবে এখন দেখার কবে জোটে কপালে বার্ধক্য ভাতা। রাজনৈতিক নেতা আমলারা বা পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনিক কর্তাব্যাক্তিদের কোন হেলদোল নেই এইসব অসহায় মানুষদের প্রতি এমনটাই মনে করছেন আমাদের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা।