এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

গঙ্গাসাগর প্রাঙ্গণকে পরিষ্কার করতে ঝাড়ু হাতে নামলেন মন্ত্রী -আমলারা

নিজস্ব প্রতিনিধি,গঙ্গাসাগর: আজ গঙ্গাসাগর মেলায় অন্যান্য মন্ত্রীদের সাথে নিয়ে সাগর তট ও মেলা প্রাঙ্গন পরিষ্কারে অংশগ্রহন করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস(Minister Arup Biswas) । উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ,কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ও জেলাশাসক(DM) শ্রী সুমিত গুপ্ত । গঙ্গাসাগর মেলা(Gangasagar Fair) ভারতবর্ষের একমাত্র পরিবেশ বান্ধব মেলা । এখানে প্লাস্টিক ব্যবহার সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ ।প্লাস্টিক মুক্ত গঙ্গাসাগর মেলাতে পুণ্যার্থীদের ফেলে যাওয়া বর্জ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। এবার গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে উপছে পড়ে ভিড়। গঙ্গাসাগর সমুদ্র সৈকতে(Sea Beach) কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না। গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির পূণ্যস্নান উপলক্ষ্যে জনজোয়ার ছিল সাগরে। এই বছর গঙ্গাসাগরে কার্যতর রেকর্ড সংখ্যক মানুষের জনসমাগম হয় ।

আর এবার সাগর মেলায় পরিবেশ ও গঙ্গাদূষণ রুখতে প্লাস্টিক ফ্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্পের আওতায় গঙ্গাসাগর বকখালী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জিবিডিএ-র পক্ষ থেকে জৈব পলিমার ব্যাগ বিতরন করা হয়। দোকানদার থেকে দর্শনার্থী সকলকেই এই ব্যাগ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। গঙ্গাসাগরের বিডিও (BDO)সুদীপ্ত মণ্ডল জানান, প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার জন্য জৈব পলিমার ব্যাগ দেওয়া হয়। এটি দেখতে প্লাস্টিকের(Plastic) মতো তবে এটি আসলে কর্ন স্টার্চ। এই পদার্থটি একশো শতাংশ দ্রবণীয়। তিন মাস ব্যবহার না হলে এই পদার্থটি নিজেই মিশ্রিত হয়ে যাবে। এই পদার্থটি এক ধরণের প্লাস্টিকের বিকল্প। দফতরের ২০০ বেশি স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা এই ব্যাগটি তীর্থযাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এর সঙ্গে দোকানদারদের হাতে কাপড় ও কাগজের ব্যাগও দেওয়া হয়। যাঁদের প্লাস্টিকের ব্যাগ নিয়ে দেখা যায় তাদের কাছ থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে জৈব পলিমার ব্যাগ দেওয়া হয়।গঙ্গাসাগর তটে জিবিডিএ বিভাগ কর্তৃক মকর সংক্রান্তির জন্য একটি অস্থায়ী কর্মশালা তৈরি করা হয়।

সেখান থেকেই জনগণের মধ্যে চার দশমিক পাঁচ লক্ষ পলি ব্যাগ এবং কুড়ি হাজার সিমের ব্যাগ বিতরণ করা হয়। জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা জানান, এখানের কর্মশালায় কীভাবে ব্যবহৃত জিনিষপত্র দিয়ে বানানো হয় তা দেখানো হয়। লোকেরা চলে যাওয়ার পরে, কাচের বোতল, পুরানো কাপড় এবং অন্যান্য জিনিস সৈকত থেকে সংগ্রহ করা হয়। যা আবার ব্যবহার করা যেতে পারে অর্থাৎ পুনর্ব্যবহার করা যায় সমস্তটা কর্মশালায়(Workshop) দেখানো হয়।ব্যবহৃত কাচের বোতলগুলি রঙিন করে সুন্দর ফুলদানি তৈরি করা হচ্ছে, এছাড়া পুরাতন পোশাক থেকে মাদুর এবং ব্যাগ প্রস্তুত করছেন মহিলারা। এই কাজ করার জন্য বিভিন্ন এনজিও এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। মেলার পরে এটি বিবেচনা করা হবে কীভাবে এই জিনিসগুলি মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া যেতে পারে। মানবিকা জানা জানান, শুধুমাত্র গঙ্গাসাগর মেলার জন্য জিবিডিএ বিভাগ এই পরিকল্পনাটি নিয়েছে। তবে আগামী দিনে চেষ্টা করা হবে বছরভর যাতে সাগরে এটি করা যায়। যাতে পরিবেশ বান্ধব হয়ে ওঠে সাগরদ্বীপ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দ্বিতীয় দফার জনমতও অনুকূলে থাকবে, দাবি তৃণমূলের, চাপে বিজেপি

নদিয়ায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনাই মৃত্যু হল এক যুবকের, শোকের ছায়া পরিবারে

অনলাইন প্রতারণা চক্রের ৬ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল শান্তিপুর থানা

কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খান, বেটে মুখে মাখেন, নদিয়ার শেখর সিকদারের কীর্তিতে হতবাক সকলে

এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান?

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর