নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার মাঝরাতে বাড়ি নিয়ে আসা হয়েছিল বাঙালি জওয়ানের (ARMY) দেহ। কফিন বন্দি হয়ে প্রীতম দত্ত ফিরেছিলেন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। আজ, মঙ্গলবার তাঁর উদ্দেশ্যে জানানো হয় শেষ শ্রদ্ধা। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গান স্যালুট (GUN SALUTE) দিয়ে জানানো হয় অন্তিম শ্রদ্ধা। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ বালিয়া পরেশনাথ সিংহ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দেওয়া হয় গান স্যালুট। এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তিনি জওয়ান হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৮ সালে।
উল্লেখ্য, গত ৪ দিন নিখোঁজ ছিলেন এই বাঙালি জওয়ান। তারপর রবিবার এসে পৌঁছেছিল তাঁর নিহত হওয়ার খবর। জানা গিয়েছে, মণিপুরে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। গত ২৯ জুন মণিপুরে নেমেছিল ধস। গত বুধবার রাতে নেমেছিল সেই ধস। তখন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন জওয়ান। এরপর রবিবার উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁর নিথর দেহ। এর আগে চারদিন ধরে চলেছিল উদ্ধার কাজ।
উল্লেখ্য, ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার ভোররাতের দিকে। অধিকাংশ সেই সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। থরথর করে কেঁপে ওঠে মাটি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, চোখের নিমেষে মাটির তলায় চলে যান ১০ জন। ভূমিধসের খবর পেয়ে মণিপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শান কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে। আশ্বাস দিয়েছেন সব ধরনের সাহায্যের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন অশ্বিনী বৈষ্ণ। ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত যাদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের কয়েকজনের চিকিৎসা চলছে সরকারি হাসপাতালে। কয়েকজনকে ননি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থলসেনাবাহিনীর কোহিমা ইউনিটের জনসংযোগ আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুমিত শর্মা জানিয়েছেন, ‘ভোররাতে মণিপুরের নির্মীয়মাণ তুপুল রেলস্টেশনের কাছে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এখনও পর্যন্ত ১০জনেক মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আহত বহু। তাদের মধ্যে কয়েকজনের চিকিৎসা চলছে সেনা হাসপাতালে। কয়েজনের চিকিৎসা চলছে ননি সরকারি হাসপাতালে। ভূমিধসে আটকে পড়া মানুষজনকে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কর্মীরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন’।