নিজস্ব প্রতিনিধি, বাসন্তী: যখন সকলে ঘুমে আচ্ছন্ন, তখনই ঘটল মহাদুর্যোগ। নদীবক্ষে তলিয়ে গেল একাধিক বাড়ি। পুজোর মুখে বাড়িছাড়া প্রায় ২০টি পরিবার। হোগল নদী গ্রাস করল বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাবল্লভপুর গ্রামের একের পর এক বাড়ি। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে ওই বাড়িগুলির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে আচমকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তী থানার অন্তর্গত রাধাবল্লভ পুর এলাকায় হোগল নদীতে ধস নামে। একের পর এক বাড়ি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। তলিয়ে যায় নদীবক্ষে। এমন সময়ই ঘুম ভাঙে অনেকের। অনেকে আবার নদীর জলে পড়ে গিয়ে সাঁতরে উঠে আসে। শেষ মুহূর্তে অনেকে বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বের করে আনার চেষ্টা করে। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ২০টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে নদীর জলে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে স্থানীয় থানার পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
পুজোর আগে ঘরছাড়া হয়ে দিশাহারা প্রায় ২০টি পরিবার। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রশাসনের তরফে খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকায় যে সমস্ত মানুষদেরও ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, গতবছরও এ সময় নদীতে ধস নেমেছিল। আসলে দীর্ঘদিন ধরে বাঁধ মেরামতি না করার জন্যই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির।
