নিজস্ব প্রতিনিধি: সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। এবার সেই সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়িত করতে একের পর এক পদক্ষেপ করা শুরু করে দিল রাজ্য প্রশাসন। বে-আইনিভাবে বছরের পর বছর ধরে শহর থেকে জেলা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে টোটো(Toto) ও ই-রিকশ(E-Rikshaw)। আর তার জেরে একদিকে যেমন শহর থেকে গ্রাম যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে তেমনি যাত্রীবাহী বাসরুটগুলি যাত্রী হারাচ্ছে। আবার বড় রাস্তা ধরে যাত্রী নিয়ে এই সব টোটো ও ই-রিকশ চলাচল করায় দুর্ঘটনাও ঘটে চলেছে। তাই রাজ্য সরকার টোটো ও ই-রিকশ এই দুটি যানের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেননা এই দুটি যানের ক্ষেত্রে না আছে রেজিস্ট্রেশন নম্বর(Registration Number), না আছে নম্বর প্লেট, না চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স। সেই সূত্রেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভবিষ্যতে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া টোটো-বা ই-রিকশা বিক্রি করলে সেই ডিলারকে(Dealer) Blacklisted করা হবে।
বিগত কয়েক বছরে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে রাজ্যজুড়ে কয়েক লক্ষ টোটো বিক্রি হয়েছে। যা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। বে-আইনিভাবে টোটো এবং ই-রিকশা বিক্রি রুখতে এবার তার ডিলারদের তলব করতে চলেছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর(West Bengal State Transport Department)। চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের প্রায় শ’দেড়েক ডিলারকে ডেকে পাঠানো হবে। সেখানেই তাঁদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হবে যে, আগামিদিনে তাঁরা যদি কাউকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া টোটো-বা ই-রিকশা বিক্রি করেন সেক্ষেত্রে তাঁদের রাজ্য প্রশাসনের তরফে Blacklisted করা হবে। একই সঙ্গে রাজ্যের প্রত্যেকটি পুরসভায় চিঠি পাঠানো হচ্ছে পরিবহণ দফতরের তরফ থেকে। সেই চিঠিতে বলে দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের এলাকায় কত টোটো চলে, তার তালিকা তৈরি করে পুজোর মধ্যে তা জমা দিতে হবে পরিবহণ দফতরে। একই সঙ্গে প্রতিটি শহর ও গ্রাম এলাকায় টোটোর নির্দিষ্ট রুট ঠিক করে দিতেও বলা হয়েছে ওই সব পুরসভা কর্তৃপক্ষ, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে এবং পুলিশ প্রশাসনকে।