নিজস্ব প্রতিনিধি: বসতবাড়ির নীচে সুরঙ্গ খুঁড়ে রীতিমতো অস্ত্র কারখানা তৈরি করে ফেলেছিলেন একদল দুষ্কৃতী। যা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি পাড়ার বাসিন্দারা। ঠিক যেন বলিউডের সিনেমা। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ পর্দাফাঁস করল ওই অস্ত্র কারখানার। ঘটনাটি আসানসোলের হীরাপুর এলাকায়। সোমবার দুপুরেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদির নেতৃত্বে আচমকা হানা দেয় হীরাপুর থানার পুলিশ। ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনা জানাজানি হতেই আসানসোলের রহমতনগর নয়াবস্তি এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদি জানিয়েছেন, গোপন সূত্রেই খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। ওই বাড়ির নীচে গোপন কুঠুরি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি হচ্ছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে কত পরিমান এবং কোন কোন আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেটা এখনই বলা যাবে না বলেও তিনি জানান। যদিও পুলিশ জানিয়েছে ওই বাড়ির মালিক মহম্মদ জাভেদ পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীও এই ঘটনায় হতবাক। তবে, মাস খানেক আগেই কুলটি থানার বরাকরের বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানা থেকে এক অস্ত্রপাচারকারীকে ধরেছিল পুলিশ। তাঁর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২৫টি সেভেন এমএম পিস্তল এবং ৪৬ টি ম্যাগাজিন। তাঁকে জেরা করেই এই তল্লাশি বলে অনুমান।