নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বিজেপিতে। এবার বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কর্মসূচিতে গরহাজির থাকলেন খোদ গেরুয়া শিবিরের দুই বিধায়ক! যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপির মধ্যে জোর চর্চা। প্রসঙ্গত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রাজ্য বিজেপির সংগঠনের হাল যে বেহাল তা একাধিকবার সামনে এসেছে। শুক্রবার আবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল।
শুক্রবার মুর্শিদাবাদে দলের এক বৈঠকে অংশ নেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সেই বৈঠকে অংশ নিলেও দলের বৈঠকে হাজির হননি দলের দুই বিধায়ক। বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ এদিন রাজ্য সভাপতির ওই বৈঠকে অংশ নেননি। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার বহরমপুরে দুর্নীতির প্রতিবাদে সুকান্তর নেতৃত্বে মিছিলেও যোগ দেননি দলের আরেক বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। বৈঠকে গরহাজির থাকা বিধায়ককে নিয়ে এদিন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সুকান্ত। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘বিজেপি হাজার হাজার জনপ্রতিনিধি তৈরি করে, হাজার হাজার জনপ্রতিনিধি তুলে ফেলে দেয়। বিজেপিতে সংগঠনই মূল কথা। কে বিধায়ক, কে সাংসদ বিজেপির কাছে সেটা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না।’
অন্যদিকে দলের রাজ্য সভাপতির মন্তব্য নিয়ে পালটা মন্তব্য করেছেন গৌরীশঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ভারতের সর্বত্র জনপ্রতিনিধি তৈরি করতে হবে। যে জনপ্রতিনিধি দ্বারা আমরা গ্রাসরুটে যেসব মানুষ রয়েছে তাদের উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে ভারতকে শক্তিশালী করা যেতে পারে। সেই জায়গায় পৌঁছতে গেলে জনপ্রতিনিধি তৈরি করতে হবে। সেই জনপ্রতিনিধি তৈরি করা নয়, তাঁকে ধরে রাখা, আবার তাঁকে পুনরায় নির্বাচিত করা, সেইখান থেকে নতুন জনপ্রতিনিধি তৈরি করা। এগুলো করতে গেলে সংগঠন এবং জনপ্রতিনিধি উভয়ের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।’ গেরুয়া শিবিরের এই দ্বন্দ্ব নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনৈতিক শিবিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপিতে কি আবার ভাঙন ধরবে? এই প্রশ্নে উদ্বেগে রয়েছেন পদ্ম শিবিরের কর্মীরা।