নিজস্ব প্রতিনিধি: পুর নির্বাচনের আগেই হাওড়ায় বিজেপির অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে। শুভেন্দু অধিকারী এবং রথীন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির হাওড়া সদর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা। তাঁর দাবি, তৃণমূলের বি-টিমের নেতৃত্বে পুরভোটে কাজ করবো না। তিনি বিজেপি নেতা রথীন চক্রবর্তীকে দুর্নীতিগ্রস্থ আখ্যা দিয়ে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই হাওড়ায় পুর নির্বাচন নিয়ে রথীন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। এরপরই প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিলেন হাওড়া সদরের বিজেপি নেতাদের একাংশ। বিজেপি নেতা সুরজিতের দাবি, একসময় হাওড়া পুরসভায় দুর্নীতির মাথা ছিলেন রথীন চক্রবর্তী। তাঁকে তৃণমূলও সরিয়ে দিয়েছিল। এখন তাঁরই নেতৃত্বে যদি আমাদের মাঠে নামতে হয় তবে মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ হবে। তাঁর দাবি, পুরোটাই শুভেন্দু অধিকারীর পরিকল্পনা। এই কমিটি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব তৈরি করেননি। আসলে শুভেন্দু তাঁর অনুগামীদের প্রচারের আলোয় রাখতে এই কমিটি তৈরি করেছে। তিনি এই কমিটি মানছেন না।
তাঁর আরও দাবি, একসময় বিজেপি রথীন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করেছিল হাওড়ায়। অথচ তাঁকেই পুর নির্বাচন নিয়ে কমিটির মাথায় বসানো হল। সুরজিৎ সাহার আরও দাবি, শুভেন্দু অধিকারীও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁকেও ক্যামেরার সামনে দেখা গিয়েছে ঘুষ নিতে। কিন্তু হাওড়া জেলা বিজেপির কোনও নেতার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ নেই। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিজেপির অন্দরে কোন্দল চলছিল। এবার সেটা প্রকাশ্যে চলে এল। এর আগেও কেউ কেউ বিজেপির অন্দরে অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব সামনে এনেছিলেন।
মঙ্গলবার হাওড়া সদর বিজেপির সভাপতি টিভি ক্যামেরার সামনেই বললেন, শুভেন্দু অধিকারীর কাছে কোনও বিজেপি কর্মীকে সার্টিফিকেট নিতে হবে না। উনি তো মাত্র ৬ মাস আগে বিজেপিতে এসেছেন। ফলে তাঁকেই প্রমান করতে হবে তিনি সৎ, যেখানে শুভেন্দু অধিকারীকেই দেখা গিয়েছে ঘুষ নিতে। তাঁর আরও দাবি, হাওড়া সদর বিধানসভা আসনে কোনও পুরোনো বিজেপি কর্মী অন্তর্ঘাত করেননি। শুভেন্দু মিথ্যে অভিযোগ তুলে কর্মীদের মন ভেঙে দিচ্ছেন। ফলে তাঁর তত্ত্বাবধানে এবং দুর্নীতিগ্রস্থ রথীন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি তাঁরা মানবেন না। এদিন তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, তৃণমূলের বি-টিমের নেতৃত্বে হাওড়া জেলার কোনও বিজেপি কার্যকর্তা পুর ভোটে কাজ করবে না।