নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরেই পূর্ণিমার ভরা কোটালে ওড়িশা ও বাংলা উপকূলের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছিল ‘যশ’। যার প্রভাবে বাংলার উপকূলের এলাকাগুলি সমুদ্রের জলচ্ছ্বোসের জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সমুদ্রের নোনা জোল ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল চাষের জমি ও পুকুরের। মারা গিয়েছিল প্রচুর মিষ্টি জলের মাছ। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের বঙ্গে হাজির আরও এক ঘূর্ণিঝড়। বঙ্গোপসাগরের বুকে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। যদিও এই ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে ল্যান্ডফল করবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ওড়িশার উপকূলেই পুরীর কাছে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। তারপরেই শক্তি হারিয়ে ক্রমশ বাংলার দিক দিয়ে এগিয়ে সুন্দরবন হয়ে বাংলাদেশে গভীর নিম্নচাপ রূপে উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রবেশ করবে ‘জাওয়াদ’। কিন্তু ঝড়ের প্রভাব না থাকলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে অমাবস্যার ভরা কোটাল।
ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর প্রভাবে ও পূর্ণিমার ভরা কোটালে নোনা জল ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। ‘জাওয়াদ’-এর আছড়ে পড়ার সময় পিছোলেও শনিবার অর্থাৎ আজ রয়েছে অমাবস্যার ভরা কোটাল। তাই চিন্তা বাড়ছে বাংলার বুকে। ‘যশ’-এর আছড়ে পড়ার সময়ে ছিল ভরা কটাল। দুইয়ের জেরে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সাক্ষী ছিল উপকূলের দুই জেলা। দীঘা, মন্দারমণির পাশাপাশি সাগর, ঘোড়ামারা এবং মৌসুনি দ্বীপ-সহ উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। নদীবাঁধগুলি ছাপিয়ে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। এবারেও সেই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে তাই চিন্তা বাড়াচ্ছে।
ইতিমধ্যেই উপকূলে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দীঘা ও সুন্দরবনের এলাকায় মোতায়েন এনডিআরএফের সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল। অমাবস্যার এবং ‘জাওয়াদ’-এর মিলিত প্রভাবে ফের জলোস্ফীতি হতে পারে দীঘার সমুদ্রে। সুন্দরবন এলাকার নদীগুলির জলও বাঁধ চাপিয়ে উপচে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।