নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) অন্যতম প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়ার(Purulia) বুকে রঘুনাথপুরে(Raghunathpur) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ‘জঙ্গল সুন্দরী কর্মনগরী’(Jungle Sundari Karmanagari) নামের শিল্পপার্ক গড়ে তোলার কথা বলেছেন। সেই শিল্পপার্কের শিলান্যাসের পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ৩টি বেসরকারি শিল্পসংস্থা। তবে শুধু এই ৩টি শিল্পসংস্থাই নয়, আরও বেশ কিছু নামীদামী শিল্পসংস্থা সেখানে বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে। সেই হিসাবে সেখানে প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে। কার্যত পুরুলিয়া জেলার গোটা রঘুনাথপুর মহকুমাজুড়ে হবে জঙ্গল সুন্দরী কর্মনগরী।
আরও পড়ুন Jal Jiban Mission প্রকল্পের আওতায় বাংলার ৫৫ লক্ষ বাড়ি
পুরুলিয়াত জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকায় নামী একটি ইস্পাত প্রস্তুতকারক সংস্থা তিনটি কারখানা গড়ে তুলেছে। তিনটি কারখানায় উৎপাদনের কাজ চলছে। নিতুড়িয়ার মদনডি, সাঁতুড়ির পোড়াডিহা এবং পাড়ার রুকনীতে কারখানাগুলি রয়েছে। তিন ব্লকে মোট ৫১৩ একর জমিতে চলছে সুসংহত ইস্পাত কারখানা। তিনটি ইস্পাত কারখানার জন্য ৩২২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনটি কারখানার সম্প্রসারণ ও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তার জন্য আরও ১০ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৬৩০০ শ্রমিক কাজ করছে। বিনিয়োগ বাড়লে আরও প্রায় ৭ হাজার জনের কাজের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন বঙ্গ বিজেপির ‘সুকান্ত ট্রাডিশন’ অব্যাহত, বাজেয়াপ্ত জমানত
অন্যদিকে রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লকের লছমনপুর এলাকায় ৬০০ একর জমিতে অন্য আরেকটি সর্বভারতীয় সুসংগত ইস্পাত কারখানার কাজ শুরু হয়েছে। সেই কারখানার সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ চলছে। ওই কারখানা করার জন্য ৪,৫৯১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। সেখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কাজের সম্ভাবনা গড়ে উঠেছে। ওই কারখানার সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ প্রায় শেষের মুখে। জোরকদমে কারখানার কাজ চলছে। সরকারের তরফ থেকে সব রকমের সহযোগিতা পাচ্ছে তারা। একইভাবে নিতুড়িয়া ব্লকের দীঘা পঞ্চায়েত এলাকায় গড়ে উঠছে একটি সিমেন্ট কারখানা। ৭০ একর জমিতে আধুনিক সিমেন্টের কারখানাটি গড়ে উঠছে। কারখানার জন্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কারখানায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫০০’র বেশি মানুষের কাজের সম্ভাবনা গড়ে উঠেছে।