এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বঙ্গ বিজেপির ‘সুকান্ত ট্রাডিশন’ অব্যাহত, বাজেয়াপ্ত জমানত

নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে বাংলার বুকে আরও একটা বিধানসভা উপনির্বাচন সাঙ্গ হয় গেল। সবাইকে চমকে দিয়ে সেই নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখলেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী। অথচ যে বিজেপি বাংলার প্রধান বিরোধী দল তাঁদের প্রার্থীর কিনা জামানত জব্দ হয়ে গেল। স্বাভাবিক ভাবেই এদিনের সাগরদিঘী(Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের(Bye Election) ফলাফল তৃণমূলের(TMC) কাছে যত না বড় ধাক্কা তার থেকেও অনেক বড় ধাক্কা বিজেপির কাছে। কেননা এবারেও দেখা গেল তাঁদের ‘জমানত বাজেয়াপ্ত’ করণের ধারা অব্যাহত রয়েছে। সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) সভাপতি হওয়ার পর থেকে দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিক ভাবে বাংলার সব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিজেপির। সাগরদিঘীতেও সেই ধারা অব্যাহত থাকল। বঙ্গ বিজেপিতে অব্যাহত ‘সুকান্ত ট্রাডিশন’।

আরও পড়ুন ২০২৪ এর ভোট তৃণমূল একাই লড়বে, ঘোষণা মমতার

সাগরদিঘী বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল বলছে এখানে জয়ী প্রার্থী বায়রণ বিশ্বাস পেয়েছেন ৪৭.৩৫ শতাংশ ভোট। প্রাস্ত তৃণমূল পেয়েছে ৩৪.৯৩ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ১৩.৯৪ শতাংশ ভোট। সংখ্যার হিসাবে বায়রণের ঝুলিতে গিয়েছে ৮৭৬৬৭টি ভোট। তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৬৪৬৮১টি ভোট। সেই জায়গায় বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা পেয়েছেন মাত্র ২৫৮১৫টি ভোট। অথচ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই সাগরদিঘী থেকেই বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুন পেয়েছিলেন ৫৪ হাজারের বেশি ভোট। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ভোট কমে ৪৫ হাজার হলেও দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিল বিজেপি। কিন্তু এ বারের এই ভোটের ফলাফলের পরিসংখ্যানের দেখলে এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, বিজেপি ভোটের বড় অংশ চলে গিয়েছে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর ঝুলিতে। ঘটনাচক্রে, ভোটের প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসের প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একসঙ্গে ছবি দেখিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস এবং বিজেপি হাত মিলিয়েছে সাগরদিঘিতে। ভোটের ফলাফল দেখে প্রাথমিক ভাবে এই ধারনা হওয়া অসম্ভব নয় যে, বিজেপির ভোট যে হারে কমেছে, তাতে পদ্মের ভোট হাত শিবিরে যাওয়ার জল্পনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

আরও পড়ুন সুপ্রিম রায়ে গণতন্ত্রের জয়, ট্যুইট মমতার

বিজেপির ভোট বাক্স বদল করে কংগ্রেসে যদি গিয়েও থাকে, তা হলে তাতে আখেরে ক্ষতি হবে গেরুয়া শিবিরেরই, এমনটাই মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞরাও। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে একটি আসনও পায়নি বাম-কংগ্রেস জোট। তাই এই উপনির্বাচনে কংগ্রেস জেতায় রাজ্যের ‘দ্বিতীয় বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে এগিয়ে আসতে পারে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট। অদূর ভবিষ্যতে না হলেও সুদূর ভবিষ্যতে সেই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে প্রধান বিরোধী পক্ষের রাজনৈতিক জমি নিয়ে বিজেপির উদ্বেগের কারণ থাকবে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনেও জয়ী হয়নি কংগ্রেস। তবে উপনির্বাচনে জয়ের পর এ বার রাজ্য বিধানসভাতেও প্রতিনিধি পাঠাতে চলেছে হাত শিবির। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর একদা ‘গড়’ মুর্শিদাবাদেই খাতা খুলল কংগ্রেস। গত বিধানসভায় সাগরদিঘিতে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী, অধুনা প্রয়াত সুব্রত সাহা। সেই আসনে মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে দল প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারল কীভাবে, তা নিয়ে জোড়াফুল শিবিরেও চর্চা শুরু হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

কলকাতা বিমানবন্দরে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি

রবিবার কলকাতায় ৪৪ বছরের গরমের রেকর্ড ভাঙতে চলেছে, তাপমাত্রা পৌঁছবে ৪২ ডিগ্রির ঘরে

চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম আপিলের শুনানির সম্ভাবনা ৩ মে

৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙল তাপমাত্রা, তীব্র গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী

মিউটেশন আছে মানেই সেই ফ্ল্যাট বৈধ এমন নয়, প্রচারে হাওড়া পুরনিগম

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর