নিজস্ব প্রতিনিধি: মাত্র কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী। আর তাতেই কাল হল মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের। লণ্ডভণ্ড উত্তর ও দক্ষিণের ২ জেলার একাধিক জায়গা। ক্ষতিগ্রস্ত বহু বাড়ি, জমি। ব্যাহত যান চলাচল। তৎপর প্রশাসন।
বড়জোর ১০ মিনিটের ঝড়। আর তাতেই বিধ্বস্ত একাধিক এলাকা। ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত। তৎপর প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে এলাকা হয় বিপর্যস্ত।
বুধবার রাতের ঝড়ে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে একাধিক জায়গায় উপড়ে পড়ে গাছ। উড়ে যায় বাড়ির চাল। ইলেকট্রিক তারে পড়ে যায় গাছ। বিপর্যস্ত হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা। প্রায় ৩ ঘণ্টা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে বহরমপুর। তৎপর বিদ্যুৎ বিভাগ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পরিষেবা স্বাভাবিক করে। মোতড়ার মোড় থেকে গোকর্ণ রাস্তার ওপর উপড়ে ও ভেঙে পড়ে গাছ। কান্দি- বহরমপুর রাজ্য সড়কে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে যান চলাচল। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহরমপুর শহর এবং সংলগ্ন গোকর্ণ, জীবন্তী এলাকা। প্রায় ১৫ বাড়ির চাল উড়ে যায়। শুধু তাই নয়, ইটের দেওয়ালও উল্টে পড়ে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষের জমি। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ওই রাতেই উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) গোয়ালপোখরের ডোয়াপাড়া গ্রামে প্রবল ঝড়ে একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিক বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক কাঁচা বাড়ি। ভেঙে পড়ে একাধিক গাছ। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় গ্রামে। আতঙ্কে রাত কাটিয়েছেন গ্রামবাসীরা। অনেকেই অন্যের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সকাল হলে ঘরের উড়ে যাওয়া টিনের চাল খুঁজতে বেরিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। রাজ্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
এই প্রসঙ্গে সমস্ত রকম ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি গোলাম রসুল ওরফে মনি। জানিয়েছেন, রাতে প্রবল ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পোখরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোয়াপাড়া গ্রাম। তিনি সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্লক প্রশাসন কে জানিয়েছেন। আরও বলেন, সরকারি ভাবে যতখানি সম্ভব সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে।
তৎপর প্রশাসন। দেওয়া হয়েছে ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি। প্রশাসন ও সরকারের সাহায্যের আশায় দিন গুনছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।