নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের নির্বাচনের আগে ঘাসফুলকে দুষে চার্টাড বিমানে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। ২০১৬ নির্বাচনে উত্তরপাড়া থেকে তৃণমূলের টিকিটেই ভোটে দাঁড়িয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। ২০২১ মোহের পিছনে ছুটে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। কিন্তু সেই মোহভঙ্গ হয়ে এখন তৃণমূলে ফেরার জন্য লাইন দিয়েছেন প্রবীর ঘোষাল। আর তাঁকে নিয়েই নাম না করে কটাক্ষ করেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি স্পষ্ট কথা বলি। ভাগ্যিস গত সপ্তাহে আসিনি। তাহলে বেইমানদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করতে হত। আমি মঞ্চ ভাগ করতে পারব না। আমি কোনও নাটক করি না। তাতে কার ভাল লাগল, কার লাগল না, তাতে কিছু করার নেই। রাজনীতি একটা সিরিয়াস জায়গা।’ বিজেপি ত্যাগের কথা জানাননি প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। যদিও নিয়মিত তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’তে লিখছেন প্রবীর ঘোষাল। গত সপ্তাহে হুগলির কোন্নগরে একটি বইমেলার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। তার সঙ্গে ছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। সেদিনই তিনি জানান, তৃণমূলে প্রবীর এলে অসুবিধা নেই।
আগেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে কটাক্ষ করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শনিবার ডোমজুড়ে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। জানা যায়, ওই তৃণমূল কর্মীর বাবা মারা গিয়েছেন, যিনি দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা। সেখানেই রাজীবকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার কিছু মানুষ। সেই বিষয়ে রাজীবকেই ফের কটাক্ষ করেন কল্যাণ।