নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে(Bengal) কেরোসিন(Kerosene) বণ্টন সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। আর সেই দাবি তুলেছেন কেরোসিনের ডিলাররা। রাজ্যে এখন ৮ কোটি ৮০ লক্ষ রেশন গ্রাহক(Ration Consumers) আছেন। এর মধ্যে ১ কোটি ৫ লক্ষ গ্রাহক মাথাপিছু পান ১ লিটার করে কেরোসিন পান প্রতি মাসে। বাকি ৭ কোটি ৭৭ লক্ষ গ্রাহক মাথাপিছু পান হাফ লিটার করে। এই হার পরিবর্তনের দাবি তুলেছে West Bengal Kerosene Dealers Association। তাঁদের দাবি, এক লিটার ও হাফ লিটারের মাপকাঠি না রেখে সবার জন্যই সমপরিমাণ কেরোসিন বরাদ্দ করা হোক। কিন্তু কেন উঠছে এই দাবি? সূত্র বলছে যে পরিমাণ কেরোসিন বাংলায় আসছে তার অনেকটাই বিক্রি হচ্ছে না। তা কেরোসিন ডিলারদের কাছেই থেকে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কেন্দ্র সরকার বাংলার জন্য আবারও কেরোসিনের পরিমাণ ছাঁটাই করে দেবে, ঠিক গত বছর তাঁরা যেমনটি করেছিল। তখন আবারও আদালতে দৌড়াতে হবে। মাঝখান থেকে ধাক্কা খাবেন বাংলার আমজনতা।
আরও পড়ুন বাংলার বাগদায় মজেছে বিশ্ব, বেড়েছে রফতানি
কিন্তু কেরোসিন ডিলারদের কাছেই থেকে যাচ্ছে কেন? কেন তা বিক্রি হচ্ছে না? জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশ থাকায় পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিপুল পরিমাণ কেরোসিন বরাদ্দ করতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্র সরকার। এপ্রিল থেকে জুন এই ৩ মাসের জন্য কেন্দ্র সরকার বাংলার ক্ষেত্রে বরাদ্দ করেছে মাসে প্রায় ৫৮ হাজার কিলোলিটার করে মোট মোট ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন। কেরোসিন ডিলারদের দাবি, এপ্রিল ও মে মাসে প্রায় ৮০ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন তেল তোলাই যায়নি। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির ডিপো থেকে ওই কেরোসিন অবিলম্বে তোলার জন্য হোলসেলার ও এজেন্টদের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের খাদ্যদফতর। কিন্তু ডিলারদের কাছে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বিপুল পরিমাণ কেরোসিন তাঁরা তুলে কোথায় রাখবেন সেই বিষয়টি। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রক জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর— এই ৩ মাসের জন্য বরাদ্দ মঞ্জুরের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ফলে আরও ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কিলোলিটার তেল বাংলার কোটায় জমা হতে চলেছে। দেশের বাকি ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের জন্য মোট বরাদ্দ সেখানে প্রায় ৮৭ লক্ষ কিলোলিটার।
আরও পড়ুন কানে তোলেনি সতর্কবার্তা, তৃণমূলে সাসপেন্ড ৫৬ নেতা
West Bengal Kerosene Dealers Association’র দাবি, যে সব রেশন গ্রাহক কেরোসিন পান তাঁদের মধ্যে কেই মাসে ১ লিটার করে পান আবার কেউ মাত্র হাফ লিটার করে পান। দেখা যাচ্ছে, যাদের বেশি কেরোসিন দরকার তাঁরা তা পাচ্ছেন না। আবার যারা ১ লিটার করে পান তাঁরা প্রতি মাসে কেরোসিন তুলছেন না। অনেকের নাম কেরোসিন পাওয়ার তালিকায় রয়ে গিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তাঁদের একটা বড় অংশই আর কেরোসিন ব্যবহারই করেন না। ফলে ডিলারদের কাছে কেরোসিন থেকে যাচ্ছে। তাই তাঁরা রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি থেকে তেল তুলছেনও না। যদিও তাঁরা সরাসরি তেল তোলেন না, সেই কাজ করে হোলসেলার ও এজেন্টরা। কিন্তু নীচুতলায় চাহিদা না থাকায় তাঁদের কাছেও তেল জমছে। তাই West Bengal Kerosene Dealers Association চাইছে রাজ্যের সব রেশন গ্রাহককেই সমপরিমাণ কেরোসিন দেওয়া হোক আর সেটা ১ লিটার করেই।