নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাঙড় (BHANGAR) কাণ্ডে উত্তপ্ত এলাকা। যার রেশ পড়েছে ধর্মতলাতেও। এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (KUNAL GHOSH)। তাঁর দাবি, সিপিএম-কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ আইএসএফকে মদত দিচ্ছে বিজেপি।
কুণাল বলেন, তৃণমূলকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করার চক্রান্ত করা হচ্ছিল। ভোট এবং উন্নয়নে তৃণমূল বিরোধীরা এগিয়ে থাকতে পারবে না জেনেই এই ‘চক্রান্ত’। তাঁর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নোংরা ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে। অভিযোগ, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই ‘অশুভ শক্তি’র এই চেষ্টা। কুণাল বলেন, ‘মুখোশ’ খুলে যাবে।
ধর্মতলায় আইএসএফ বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, সরকার এবং পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। তৃণমূল মুখপাত্রের দাবি, জনগণকে হেনস্থা করা হচ্ছিল। বারবার পুলিশের অনুরোধ সত্ত্বেও সরেননি আইএসএফ কর্মীরা। সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বাধা দিচ্ছিলেন আইএসএফ কর্মীরা। তিনি বলেন, ধর্মের নামে অরাজকতা বরদাস্ত করা হবে না। এরপরেই কুণালের বক্তব্য, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুনের ছ্যাঁকা সবার লাগবে’।
এদিন তৃণমূল মুখপাত্রের মুখে উঠে আসে ‘সিপিএমের অন্তর্দ্বন্দ্ব’ প্রসঙ্গও। বলেন, সিপিএমের একাংশ চাইছে আইএসএফ উঠে আসুক। আরেক অংশ চাইছে উত্থান আটকাতে। তাঁর কটাক্ষ, ‘অতৃপ্ত আত্মা’ বিজেপি এসব করেই শান্তি পায়। অভিযোগ, ভাঙড়ে তৃণমূল বিরোধীরা অস্ত্র মজুত করছে।
মিঠুনকে কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, ওঁ পারিযায়ী পাখি। আরও বলেন, ভবঘুরেদের মত- একা একা বক্তব্য রাখে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে বলেন- চোর, চিটিংবাজ, তোলাবাজ, ব্ল্যাকমেলার। বলেন, কোনও কোনও বিজেপি নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সি থেকে বাঁচতে বিজেপি করছেন। আর নিজের নাম লুকোতে বলছেন, বিরোধী দলের একে ধরুন, তাঁকে ধরুন।
বিরোধী দলের ভূমিকা এমন হওয়া উচিৎ নয় দাবি করে কুণাল বলেন, বিজেপি নিজেদের ট্রেনিং ক্যাম্পের আয়োজন করুক। তাতে তৃণমূল নেত্রীকে ‘রাজনীতি’ শেখানোর আবেদন জানাক। বিরোধী দলের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিৎ তা শিখিয়ে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষ, ‘দিলীপ, মিঠুন, শুভেন্দু, সুকান্তকে দিয়ে বিজেপি চলবে না’।