নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রশ্নের মুখে সাগরদিঘী মডেল(Sagardighi Model)। নেপথ্যে সাগরদিঘী উপনির্বাচনে জয়ী কংগ্রেস(INC) প্রার্থী বায়রণ বিশ্বাসের(Bairon Bishwas) তৃণমূলে যোগদান। যে সাগরদিঘী মডেলকে বার বার বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বরা বাংলার বুকে তুলে ধরেছেন তৃণমূলকে পরাস্ত করার মাধ্যম হিসাবে, সেই সাগরদিঘী মডেলই বড়সড় ধাক্কা খেয়ে গেল বায়রণের দলবদলে। আগামী দিনে যদি আবারও এই মডেলেই আস্থা রাখেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ববৃন্দ তাহলে তাঁদের জন্য আবারও ধাক্কা অপেক্ষা করে থাকবে, এমনই অভিমত ওয়াকিবহাল মহল। যদিও বাম নেতৃত্ব(Left Leaders) এটা মানতে নারাজ যে সাগরদিঘী মডেল ফেল করেছে। তাঁদের দাবি, সাগরদিঘী মডেল ফেল করেনি, বায়রণ মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছে। তাই সাগরদিঘী মডেলের পথ থেকে সরে আসার কোনও কারণ নেই। এই মডেলেই আস্থা রেখে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন তাঁরা। কিন্তু নীচুতলা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলছে।
আরও পড়ুন অভিষেকের পাশে বসে অধীরকেই কাঠগড়ায় তুললেন বায়রণ
রাজ্যের বাম শিবিরের নীচুতলার কর্মীদের দাবি, কোনও মডেল ফডেল নয়। আস্থা রাখতে হবে বামপন্থার ওপরেই। জোট যদি গড়তেই হয় তাহলে রাজ্যের সব বামপন্থীকেই এক ছাতার তলায় আনতে হবে। রাজ্যের বহু বামপন্থী পরিবার বিজেপিতে চলে গিয়েছে। কেননা তাঁদের মনে হয়েছে বাংলায় মমতা রাজের অবসান ঘটাতে পারবে বিজেপি। এদেরকেই ফের ফিরিয়ে আনতে হবে। আর সেটার জন্য দরকার বিশ্বাসযোগ্য মুখ যা এখন বাম শিবিরে নেই বললেই চলে। মানুষের আস্থা, ভরসা ফিরে না পেলে কোনও জোট, কোনও মডেলেই সাফল্য আসবে না। এক আধবার জায়গায় সাগরদিঘী মডেল কাজ করে যেতে পারে, কিন্তু সার্বিক ভাবে তাতে কোনও লাভ হবে না। সাগরদিঘী মডেলে বেশি আস্থা রাখলে বার বার ধাক্কা আসবে। জোটে জোর না দিয়ে আমজনতার কাছে গিয়ে তাঁদের সমর্থন ফেরাতে হবে। বাম দলগুলির মধ্যেও বেশি করে যৌথ কর্মসূচী রাখতে হবে। কিন্তু এই নীচুতলার কথা কবে শুনেছে আলিমুদ্দিন! আগামী দিনে শুনবে সেই ভরসাটাও রাখছেন না তাঁরা।